অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: সকালেই ফোনে কথা বলেছিলেন পরিবারের সঙ্গে। কেউ ভাবতেও পারেননি কয়েকঘণ্টার মধ্যে মিলতে চলেছে এমন দুঃসংবাদ। কিন্তু হল ঠিক তেমনটাই। সেনাসর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যু সংবাদের সঙ্গেই দার্জিলিংয়ে পৌঁছল ঘরের ছেলে সৎপাল রাইয়ের মৃত্যুর খবর। স্বজন হারানোর বেদনায় ভেঙে পড়েছেন রাই পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের (Derjeeling) তাকদার বাসিন্দা সৎপাল রাই। বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী মন্দিরা রাই ও ছেলে বিক্কল রাই। ছেলেও সেনাবাহিনীতেই কর্মরত। বর্তমানে দিল্লির রয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিক্কল। দুপুরে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে দু্র্ঘটনার কবলে পড়ে দেশের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের চপার। মৃত্যু হয় তাতে থাকা ১৩ জনের। সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত ছাড়াও মৃতদের তালিকায় রয়েছেন সেনানায়কের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী অর্থাৎ বাংলার সৎপাল।
[আরও পড়ুন: খাঁচা খুলতেই নদীতে ঝাঁপ! কুলতলিতে তাণ্ডবের পর বাইনের জঙ্গলে মিলিয়ে গেল বাঘ]
দিল্লিবাসী বিক্কলই প্রথমে পান দুর্ঘটনার খবর। তিনিই ফোনে জানান পরিবারের বাকিদের। স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। সৎপালের দেহ ফেরার অপেক্ষায় সকলে। বুধবার গভীর রাতে দার্জিলিংয়ের এসপি, সন্তোষ নিম্বালকর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে সৎপালের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ, বিজেপি নেতা রাজু বিস্তা।
উল্লেখ্য, বুধবার সুলুরের সেনা ছাউনি থেকে এমআই সিরিজের চপারটি ওয়েলিংটনের সেনাঘাঁটির দিকে যাচ্ছিল বলে খবর। কিন্তু ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় কপ্টারে। আর এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রয়াত হলেন দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত-সহ মোট ১৩ জন।