shono
Advertisement

Breaking News

আধ ঘণ্টা Netflix দেখা আর ৬ কিমি গাড়ি চালানো সমানভাবে দূষিত করে পরিবেশকে!

নতুন গবেষণায় কেন এমন তথ্য উঠে এল?
Posted: 08:43 PM Mar 19, 2021Updated: 08:43 PM Mar 19, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধ ঘণ্টা নেটফ্লিক্স (Netflix) দেখা ছ’কিলোমিটার গাড়ি চালানোর সমান। বিষয়টা বোধগম‌্য হল না তো? আসলে এটা গ্রিন রিপোর্ট। ব্রিটেনের রয়‌্যাল সোসাইটির তরফ থেকে পেশ করা এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, স্মার্টফোনে কোনও ভিডিও যদি এইচডি অর্থাৎ হাই ডেফিনিশন মোডে দেখা হয়, তাহলে তার থেকে যে রেডিয়েশন বেরোয়, তা এসডি বা স্ট‌্যান্ডার্ড ডেফিনিশনের বিকিরণের তুলনায় প্রায় আট গুণ বেশি। এর থেকে বাতাসে ছড়ানো দূষণের মাত্রা, ছ’কিলোমিটার রাস্তায় গাড়ি চালালে যে দূষণ হয়, তার সমান। যদিও নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে রাজি হননি।

Advertisement

গত কয়েক বছরে ওটিটি বা ওভার দ‌্য টপ প্ল‌্যাটফর্মের (OTT Platform) বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বেই। স্মার্টফোনে হাতের মুঠোয় চলতে-ফিরতে সিনেমা, সিরিজ কিংবা সিরিয়াল দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউই। সৌজন্যে সস্তার ইন্টারনেট পরিষেবা। গত এক বছরে লকডাউন ও তার পরবর্তী সময়ে এই প্ল্যাটফর্মের ব‌্যবহার বেড়েছে একধাক্কায় কয়েক গুণ। ফলে এইচডি ভিডিও দেখার পরিমাণও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে বেড়েছে তার রেডিয়েশনের মাত্রাও। মোবাইল ফোন থেকে বিকিরণের মাত্রা নিয়ে কমবেশি সকলেই সচেতন। কিন্তু তাতে মোবাইল ব‌্যবহার বন্ধ তো দূর অস্ত, একফোঁটাও কমেনি। বরং রোজ তা ঊর্ধ্বমুখী। একইভাবে যেমন বাড়ছে এসি ও গাড়ির ব‌্যবহার।

[আরও পড়ুন: আন্দামানে মিলল মারণ ছত্রাকের সন্ধান! হতে পারে পরের অতিমারীর কারণ, শঙ্কায় বিজ্ঞানীরা]

রয়‌্যাল সোসাইটির তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই ধরনের দূষণের কথা জেনেও আমরা নিজেদের এর থেকে বিরত রাখতে পারি না। কিন্তু তাতে তো দূষণ কমে না। যে কোনও ওটিটি প্ল‌্যাটফর্মেই দেখানো এইচডি স্ট্রিমিং (সম্প্রচার) বিপুল দূষণ ঘটায়।’ নেটফ্লিক্স অবশ‌্য এই অভিযোগ মেনে নিতে রাজি হয়নি। তাদের দাবি, তাদের প্ল‌্যাটফর্মে এক ঘণ্টা এইচডি স্ট্রিমিং চললে তা, একশো গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের সমান। এবং এই হিসাব অবশ‌্যই ছ’কিলোমিটার গাড়ি চালানো থেকে যে দূষণ হয় তার থেকে অনেকটাই কম।

ব্রিস্টল বিশ্ববিদ‌্যালয়ের তরফে গবেষণা করে নেটফ্লিক্সের জন‌্য একটি বিশেষ ‘টুল’ তৈরি করা হয়েছে, যার নাম ‘ডিমপ‌্যাক্ট’। যা তাদের প্ল‌্যাটফর্মের রক্ষণাবেক্ষণের উপর নজর রাখে। তাদের তরফে ড‌্যানিয়েল স্চিয়েন বলেন, “বিবিসি বা নেটফ্লিক্স বা অন‌্য কোনও প্ল‌্যাটফর্মের পক্ষেই যে ডিভাইস থেকে সম্প্রচার হচ্ছে, তাতে কোনও যন্ত্র লাগিয়ে এই দূষণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। আরও অনেক কিছুর উপরই তা নির্ভরশীল। শেফিল্ড বিশ্ববিদ‌্যালয়ের গবেষকরাও অবশ‌্য রয়‌্যাল সোসাইটির রিপোর্টে সারবত্তা পাচ্ছেন। তাঁদের পরামর্শ, আধ ঘণ্টা ওটিটি সার্ফ করার বদলে মাঠে হেঁটে আসা ভাল।

[আরও পড়ুন: উবে যায়নি মঙ্গলের জল, রয়েছে লাল গ্রহেই! চাঞ্চল্যকর দাবি নাসার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement