দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনাকালে হোক বা গরমের ছুটিতে, স্কুল বন্ধ থাকলেও বেতন নেওয়ার পাশাপাশি চুটিয়ে টিউশন করেছেন স্কুল-শিক্ষকদের একাংশ। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। শিক্ষকদের টিউশন বন্ধে এবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিল রাজ্য সরকার।
স্কুলশিক্ষা দপ্তর এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ২৭ জুন প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুলের কোনও শিক্ষক টিউশন করলে ব্যবস্থা নিতে পারবেন প্রধান শিক্ষক। আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের টিউশন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বুধবার স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, “অনুরোধ উপরোধ অনেক হয়েছে। প্রাইভেট টিউশন করলে প্রধান শিক্ষকরা নির্দিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার থানায় এফআইআর করতে পারবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘ভুল তথ্য ছড়াবেন না, দরকারে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করুন’, রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ কুণালের]
স্কুলশিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি ৬১ জন স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ওই শিক্ষকরা সরকারি বেতন নেওয়ার পাশাপাশি টিউশনও করেন বলে অভিযোগ। এই সংখ্যা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। শিক্ষকদের একটি বড় অংশই গোপনে অর্থের বিনিময়ে টিউশন পড়ান। বলাই বাহুল্য সেই টাকা কর বহির্ভূত। অর্থাৎ আয়কর জমা দেওয়ার সময় সেই টাকার হিসাব দেখানো হয় না।
স্কুলশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, করোনা সতর্কতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের বেতন এক টাকাও কমেনি। বসে বসেই পূর্ণ বেতন পেয়েছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও শিক্ষকদের একটি অংশ চুটিয়ে টিউশন করেছেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছে বিকাশ ভবনে। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা বাড়াল সরকার।