সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চুরি রুখতে কড়া রাজ্য় সরকার। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর সাহায্যে ঘুরপথে টাকা খরচ আটকানো হবে। সেই উদ্দেশে চালু হচ্ছে নয়া অ্যাপও। সবমিলিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে 'জালিয়াত' নার্সিংহোমগুলির চুরি ঠেকাতে একগুচ্ছ নিয়ম কার্যকর করল স্বাস্থ্যদপ্তর।
কী কী নিয়ম চালু হল?
- হাসপাতালে ভরতি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশনের আগে ও পরে এবং রোগীর ছুটির সময় নির্দিষ্ট অ্যাপের সাহায্যে রোগীর ছবি ও ভিডিও তুলে পাঠাতে হবে স্বাস্থ্যভবনে।
- স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভরতি হলেই বেসরকারি হাসপাতালকে সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য ছবি-সহ সরকারকে পাঠাতে হবে।
- চিকিৎসার প্রতিটি ধাপে রোগী সত্যিই হাসপাতালে আছেন কিনা, নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট সার্ভারে পাঠাতে হবে রোগীর জিপিএস লোকেশন।
- ছবি, ভিডিও, জিপিএস লোকেশন একবার পাঠানো হয়ে গেলে তা এডিট করা যাবে না।
- একই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপি ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রেও।
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জিপিএস অন করে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়া মাত্র, নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু করতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে জিপিএস অন করে অ্যাপ বন্ধ করতে হবে।
- যে অ্যাপের মাধ্যমে এই তথ্য পাঠাতে হবে, তা হাসপাতালের ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের বাইরে কাজ করবে না।
সার্ভারে আপলোড করা ছবি, ভিডিও জাল কিনা, তা পরীক্ষা করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবস্থা। রোগীর ছবি না থাকলে বা ভুয়ো তথ্য আপলোড করলে স্বাস্থ্যসাথীর টাকা দেবে না সরকার। সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। করা হবে মোটা টাকা জরিমানাও। এক্ষেত্রে হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের মতো সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক দায়বদ্ধ থাকবেন। কারণ রোগীর চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায়ের ছবি আপলোড করতে হবে ডাক্তারের স্মার্ট ফোন থেকে।