স্টাফ রিপোর্টার : হাসপাতালে ভরতি সব ডেঙ্গু (Dengue) রোগীর নিয়মিত প্লেটলেট পরীক্ষা। সন্দেহভাজন ডেঙ্গু রোগীর রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত জানিয়ে দেওয়া। দ্রুত রোগনির্ণয় ও রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের ফর্মুলায় ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্য ভবন।
বেলপাহাড়ি সফরে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়ে গিয়েছিলেন, রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। ঠান্ডা যত বাড়বে ততই ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে। সফর সেরে বুধবার নবান্নে (Nabanna) এসেই ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া সম্পর্কে খোঁজ নেন তিনি। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। প্রকাশ করা হয় ১৪দফা গাইডলাইন। যেখানে হাসপাতালগুলিকে ২৪ ঘণ্টাই ফিভার ক্লিনিক চালাতে বলা হয়েছে। হাসপাতালে ভরতি থাকা ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টার ল্যাব সার্ভিস চালু রাখতে বলা হয়েছে। যাতে টেস্টের রিপোর্ট টেস্টের দিনেই পাওয়া যায় তারও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ব্লাড টেস্টের রিয়েল টাইম রিপোর্টও দ্রুত পাঠাতে হবে যাতে চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব না হয়।
[আরও পড়ুন: বিধানসভার বিএ কমিটি থেকে বাদ পার্থ, সর্বদল বৈঠকে বিজেপির গরহাজিরা নিয়ে তোপ স্পিকারের]
স্বাস্থ্য ভবনের ১৪দফা গাইডলাইনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের উপর। বিশেষ করে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে অবিলম্বে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গু রোগীকে প্রোটোকল অনুযায়ী চিকিৎসায় সড়গড় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাহাড়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও ডেঙ্গু অনেকটাই কমেছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই যেসব ওয়ার্ড বা পঞ্চায়েত এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে লাগাতার পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে এদিনের প্রকাশিত প্রোটোকলে। হাসপাতালে ডেঙ্গু-তথ্য সংরক্ষণের জন্য একজন নন মেডিক্যাল সুপার নিয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় ডেঙ্গুর দাপটের মাঝেই মশার ‘আতুঁড়ঘর’ নির্মীয়মাণ মেট্রো]
বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ম্যালেরিয়ার সন্দেহভাজনদের রক্তপরীক্ষার আগেই প্রাইমাকুইন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের বার্তা দেওয়া হয়েছে। রোগীরা কেন প্রাইমাকুইন ট্যাবলেট ১৪দিন ধরে খাবেন তা বুঝিয়ে বলতে বলা হয়েছে। প্রোটোকলে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার উপর। এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে মালদহে ডেঙ্গুতে নাসিম শেখ (১৩) এক বালকের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরিবারের অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশনের জন্য মৃত্যু হয়েছে নাসিমের। তবে হাসপাতাল সুপার পুরঞ্জয় সাহা এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রোগীকে রাতে ভর্তি করা হয়েছিল।