ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: করোনা আবহে শিশুদের অজানা জ্বর (Fever)। আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অভিভাবকদের। এমন আবহে জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক সারল স্বাস্থ্যভবন। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্যকর্তারা একাধিক নির্দেশিকা দিয়েছেন।
বাড়িতে কারোর জ্বর হলেই দু’বছরের নিচের শিশুদের আলাদা করতে হবে। ৫ বছর বা তার বেশি বয়সের শিশুদের জ্বর হলে পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপতে হবে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-এর নিচে থাকলেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকলে ঝুঁকি নেবেন না। হাসপাতালে ভরতি করে দিন। বুধবার জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের ভিডিও কনফারেন্সে এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তৃণমূলের, বিজেপি প্রার্থীকে চিঠি কমিশনের]
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বেশিরভাগ শিশুই ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হচ্ছে। ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে জ্বর না ছাড়লে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, ডেঙ্গ, ক্রাব টাইফাস যাবতীয় বর্ষাকালীন রোগের সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে চিকিৎসকদের রোগী পরীক্ষা করতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা অসম্ভব ছোঁয়াচে রোগ। দ্রুত সংক্রমিত হয়। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে কোভিডের মতোই নিয়ম নেমে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য. মাস্ক পরতে হবে। স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে। এবং শিশুদের অবশ্যই আলাদা করে রাখতে হবে। কারণ দ্রুত তাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বলা হয়েছে, হাসপাতালে যাঁরা আসবেন তাঁদের মধ্যে জটিল কোনও সমস্যা থাকলে থুতু, কফ, সর্দির নুমনা সংগ্রহ করে নাইসেড এবং স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠাতে হবে।
স্বাস্থ্যভবনের একটি পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। নিয়মিত সমস্ত তথ্য সেই পোর্টালে তোলার জন্য জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিনে আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য, ডা. সৌমিত্র ঘোষ, ডা. বিভূতি সাহা, ডা. জ্যোর্তিময় পাল-সহ অন্যান্যরা।