অর্ণব দাস: কামারহাটিতে ২ জনের মৃত্যু আন্ত্রিকে (Diarrhoea) নয়, হয়েছে অন্য কোনও কারণে। মঙ্গলবার রাতে বিবৃতি জারি করে জানাল স্বাস্থ্যভবন। তবে কামারহাটি (Kamarhati) এলাকায় যে আন্ত্রিকের প্রকোপ ছড়াচ্ছে, তা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৭০ জন পেট খারাপ, বমির মতো উপসর্গ নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন।তাঁদের অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ১১ জন ভরতি হাসপাতালে।আন্ত্রিক মোকাবিলায় তড়িঘড়ি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে। সেইমতো আজ থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে শুরু হচ্ছে হেলথ ক্যাম্প।
মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্যভবনের (Swasthya Bhaban) তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) ৭২ বছরের যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে সাগর দত্ত হাসপাতালে, তাঁর হাইপারটেনশন অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির সমস্যা ছিল। তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে এগুলিকেই দায়ী করা হচ্ছে। ৫০ বছরের এক মহিলারও মৃ্ত্যু হয়েছে কিডনির সমস্যাজনিত (Renal Failure) কারণে। কারও মৃত্যুই ডায়রিয়ায় হয়নি বলে বিবৃতিতে দাবি স্বাস্থ্যভবনের।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনা কেড়েছে বাবার প্রাণ, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে আলিপুরদুয়ারের চার ভাইবোন]
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে কামারহাটিতে ছড়াল আন্ত্রিকের প্রকোপ? প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, পুরসভার জলের পাইপ ফেটে তাতে বর্ষার নোংরা জল ঢোকার কারণেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই পাঁচটি ওয়ার্ডে পুরসভার পক্ষ থেকে জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।ইতিমধ্যেই পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ডাক্তাররা সংক্রমিত এলাকায় প্রয়োজনীয় ওষুধ বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। খোঁজ নিচ্ছেন বাসিন্দাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে।
[আরও পড়ুন: মন্তেশ্বরের এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে গেলেই মিলছে ৫০০ টাকার নোট! তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়]
পরিস্থিতি নিয়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, “কী কারণে ডায়রিয়া ছড়িয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি এবং ডাক্তাররা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা প্রতিদিন ওই এলাকাগুলিতে এক লক্ষ ম্যারিনেট করা খাবারের প্যাকেট পাঠাব। জল ফুটিয়ে দেব।কলকাতার টালা পার্ক থেকে জল আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের একটি ওয়ার্ড ডায়রিয়া রোগীদের জন্য নেওয়া হয়েছে। আরও দুটি ওয়ার্ড তৈরি রয়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে সেখানে চিকিৎসা চলবে। এলাকায় এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অসুস্থ হলে প্রত্যেকেই যাতে দ্রুত চিকিৎসা পান, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।”