সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্রেফ ফোন নম্বরের বদল। আর এর ফলে প্রায় পাঁচ লক্ষ নাগরিক করোনা টিকার (COVID-19 Vaccine) প্রথম ডোজ কী পেয়েছেন তা অস্পষ্ট। কেন ঘটল এমনটা?
ঘটনা হল, টিকাকরণ শুরু হলেও প্রথম দিকে সাধারণের মধ্যে কিছুটা সংশয় ছিল। তাই রাজ্য প্রশাসনের তরফে লাগাতার প্রচার হলেও তেমন সাড়া মেলেনি। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই টিকার গুরুত্ব স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল, সেই সময়ে যাঁরা প্রথম ডোজ নেন তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও খোঁজ মিলছে না।
[আরও পড়ুন: রোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে আমন্ত্রিত Mamata Banerjee, একই মঞ্চে থাকবেন জার্মান চ্যান্সেলরও]
এই সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়। অন্তত পাঁচ লক্ষ। স্বাস্থ্যভবনের (Health Department) তরফে এখন তাঁদের খোঁজ চলছে। ফোন করে বা এলাকায় গিয়ে ওই নামের লোক খোঁজা হচ্ছে। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, সম্ভবত ফোন নম্বর বদল হয়েছে তাই এমন সমস্যা। ঠিক এখনই রাজ্যের হাতে রয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ ভ্যাকসিন। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ কোভিশিল্ড। বাকিটা কোভ্যাকসিন। এখনও সাত কোটি নাগরিক ভ্যাকসিন পাননি। তথ্য বলছে, প্রায় ২ কোটি ৩৫ লক্ষ প্রথম ডোজ ৯১ লক্ষ দু’টি ডোজ পেয়েছেন। ১ কোটি ৪৪ লক্ষের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়। তিন মাসের মধ্যে আর দু’টি ডোজের অপেক্ষায় সাড়ে চার কোটি। আগস্টের মধ্যে ৭৩ লক্ষ ডোজ আসার কথা।
এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ৫২ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৬২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। টিকাকরণের গতি বাড়ানোকেই পাখির চোখ করেছে কেন্দ্র। করোনা রুখতে দুই টিকার মিশ্রণ কতখানি উপকারি, তা নিশ্চিত হতেও এবার শুরু হল পরীক্ষানিরীক্ষা। এর জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI-এর তরফে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের মিশ্র ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দেওয়া হল। ইতিবাচক ফল মিললে প্রথমে কোভিশিল্ড টিকার পর দ্বিতীয় টিকা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে কোভ্যাক্সিন।