সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০-২১ সালে ভারতে কোভিডে (Covid) মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত ৪৭ লক্ষ মানুষের। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কোভিড শুরুর বছর থেকে তার পরের করোনার হানায় মৃত্যু হয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানের প্রায় তিনগুণ বেশি মানুষের। এই তথ্য বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিহীন, আগেই জানিয়ে ছিল ভারত। এবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যকে ভিত্তিহীন বললেন দেশের একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরাও (Health Minister)। এমনকী হু’র বিরুদ্ধে ‘ভারতের নাম খারাপ করার’ও অভিযোগ আনলেন তাঁরা।
সম্প্রতি গুজরাটে অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ পরিষদের ১৪তম সম্মেলন। যেখানে পৌরহিত্য করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। ওই সম্মেলনেই কেন্দ্রের সুরে সুর মেলান বেশ কিছু রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, যুক্তিহীন তথ্য দিচ্ছে হু। ‘দেশকে খারাপ চোখে দেখা হচ্ছে’ বলেও অভিযোগ করলেন তাঁরা। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের আরও দাবি, ভারত কোভিডে মৃত্যুর তথ্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় দক্ষভাবে রাখে। আইন অনুসরণ করে স্বচ্ছভাবে এই পরিসংখ্যান রেকর্ড করা হয়ে থাকে।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে টাকার স্তুপ, সম্পত্তি কলকাতাতেও! ঝাড়খণ্ডের IAS অফিসারের কীর্তিতে হতবাক ED]
শুক্রবার ওই সম্মেলনে ভারতে কোভিড মৃত্যুর বিষয়ে হু’র বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়ে একটি প্রস্তাবও পাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হু’র তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিষয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে সুধাকার মন্তব্য করেন, যেভাবে হু এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে, তা আদতে ভারতের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা। পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বানানো। সঠিক ভাবে গণনা করা হয়নি। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কোভিড আবহে কম মৃত্যুর হার থেকে শুরু করে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ভারতের যে সাফল্য তাকে খাটো করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।উপস্থিত অন্য মন্ত্রীরাও একই কথা বলেন। অন্যদিকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, “হু’র পরিসংখ্যান প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং ফলাফলে ভারতের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত মৃত্যুর কথা প্রকাশ করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘ঘরের বিবাদ বাইরে এনে দলের ক্ষতি করবেন না, বরদাস্ত করব না’, কংগ্রেস নেতাদের হুঁশিয়ারি রাহুলের]
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগস্ট ২০২০-তে অর্থাৎ যে সময় সারা দেশে করোনার কারণে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল সেই সময় দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, গত বছর এপ্রিল, জুন মাসে তা গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ লক্ষে। যদিও এই দাবি মানেনি ভারত। উল্লেখ্য, ভারত ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মৃত্যুর হারও প্রকাশ করেছে হু।