ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ (RG Kar Medical College) হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের টানা কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণ ব্যাহত। এবার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে দ্রুত সমাধানে নিজেই তৎপর হলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সোমবার আর জি করের মেন্টর গ্রুপকে জরুরি তলব করেছেন তিনি। স্বাস্থ্যভবনে (Swasthya Bhaban) তিনি নিজে গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সবটা বুঝে নেবেন। সূত্রের খবর, এরপর তিনি বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেও কথা বলবেন। তাঁদের অভিযোগ শুনে সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন। এদিকে, হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। আজ থেকে কোনও রোগীকে রেফার না করা হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
রবিবার আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দু’দফায় বৈঠক করেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র মেলেনি। আন্দোলনকারীদের দাবি, অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলে তাঁরা রিলে অনশন চালিয়ে যাবে। এদিকে, রোগীদের চিকিৎসাও প্রায় হচ্ছে না। এমারজেন্সিতেও রোগীদের রেফার করে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে আশাহত হয়ে ফিরছেন। এই পরিস্থিতি আর জি কর নিয়ে মাথাব্যথা বাড়ছিল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। সমাধানের জন্য কলেজ অধ্যক্ষের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি মেন্টর গ্রুপ তৈরি করে দেন স্বাস্থ্যসচিব।
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ল বাইক, মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় জখম সেনাকর্মী]
কিন্তু মেন্টর গ্রুপের সদস্যরা আন্দোলনকারীদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ইস্তফা না দিলে তাঁরা কাজে ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে, সিনিয়র ডাক্তাররাও ছুটিতে। ফলে রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না। ক্রমশ আর জি করের বেহাল পরিষেবা নিয়ে রোগীদের ক্ষোভ বাড়ছিল। রবিবার বিষয়টা নিয়ে চার বিধায়ক, এক সাংসদ মোহিত মঞ্চে আন্দোলনকারীদের ডেকে আলোচনায় বসেন। নির্মল মাজি, অতীন ঘোষ সকলেই তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বরফ গলেনি তাতে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মণ্ডপে ভাঙচুরকে হাতিয়ার করে অশান্তির আশঙ্কা, সম্প্রীতি রক্ষায় কড়া বাংলা]
রবিবার এই ঘটনার পর সোমবার স্বাস্থ্যসচিব নিজে মেন্টর গ্রুপকে বৈঠকে ডাকেন। স্বাস্থ্যভবনেই এদিন বৈঠক করবেন তিনি। প্রয়োজনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গেও কথা বলবেন। সবমিলিয়ে জট কাটিয়ে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা দ্রুত ফেরাতে এখন মরিয়া স্বাস্থ্যদপ্তর।