সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশি প্রদর্শনের মত্ততায় ডুবে যুব সমাজ। অথচ এক পরিসংখ্যান বলছে ভারতীয়দের মধ্যে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা সব চাইতে বেশি। অস্টিওপোরোসিস বা অস্টিওপেনিয়ার মতো রোগ ভিটামিন ডি ও আয়োডিনের ব্যাপক ঘাটতির জন্য ভারতীয়দের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে। এমনটাই জানাচ্ছে এক সমীক্ষা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগগুলি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। তবে আগেভাগে সচেতন না হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গেছে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ২৩ কোটি ভারতীয় অস্টিওপোরোসিসে ভুগছেন। দেশব্যাপী এই সমীক্ষায় উঠে এসছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। প্রতি দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়ের মধ্যে একজনের হাড়ের ঘনত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে কম। বিশেষ করে যে মহিলাদের মধ্যে মেনোপেজ দেখা দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ৩৩ গুণ ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কারণ কী?
(১) পাঁচ জন ভারতীয়র মধ্যে প্রতি একজনের রয়েছে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ ব্যাহত হয়। ক্রমশ হাড়ের ঘনত্ব কমে আসে। হাড় নরম ও ভঙ্গুর হয়ে ওঠে।
(২) থাইরয়েড হরমোন (T3, T4) সংশ্লেষের জন্য আয়োডিন অপরিহার্য। এটি হাড়ের বৃদ্ধি ও গঠন নিয়ন্ত্রণ করে। আয়োডিনের ঘাটতি (IDD) পরোক্ষভাবে হাড়ের ভঙ্গুরতা বাড়ায়। দেশে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ আয়োডিনের ঘাটতিতে ভুগছেন। এই সমস্যা মোকাবিলার জন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ অপরিহার্য।
প্রতিকারের উপায়
আগে থেকে সতর্ক না হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। হাড়ের স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন—দুধ, দই, পনীর, তিল এবং শাক-সবজি অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে প্রতিদিন সকালে অন্তত ১৫-২০ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকা উচিত। ফর্টিফায়েড খাবার খাওয়া জরুরি। এছাড়া প্রতিদিন নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা দরকার। দ্রুত হাঁটা, স্কোয়াট কিংবা হালকা ওয়েটলিফ্টিং—নিয়মিত করতে হবে। সঠিক পুষ্টি, নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমেই এই সংকট প্রতিরোধ করা সম্ভব।
