সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: বাতাসে হিমেল ভাব। রাত বাড়লেই পারদের মাত্রা কমছে। এমনকী ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগছে রীতিমতো। আর এই ঋতু বদলের সন্ধিক্ষণেই দেখা দেয় গাঁটের ব্যথা। শুধু বাতের ব্যথা নয়, নানা কারণেই বাড়তে পারে হাত বা পায়ের গাঁটের ব্যথা। সঙ্গে শরীরে আলস্য ভাব। ক্লান্তি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকী শীতকালে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলেও জয়েন্টে ভয়ানক ব্যথা হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে বা হাঁটতে গেলে পায়ে টান ধরে। ঋতু বদলের এই মরসুমে ব্যথাবেদনায় ভোগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। শুধু বয়স্করাই নয়, যেকোনও বয়েসেই দেখা দিতে পারে এই ব্যথা। এমন পরিস্থিতে নিজেকে ভালো রাখতে কী করবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. শরীর গরম রাখুন: শীতকালে পুরো শরীর এবং বিশেষ করে ব্যথার জায়গাগুলো গরম রাখুন। উলের পোশাক, মোজা এবং গ্লাভস ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর সময় গরম কম্বল ব্যবহার করুন।
২. হিট থেরাপি ব্যবহার: ব্যথার জায়গায় গরম জলের সেঁক, হট ওয়াটার ব্যাগ, বা ইলেকট্রিক হিট প্যাড ব্যবহার করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
৩. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম: গাঁটের নমনীয়তা বজায় রাখতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। হাঁটা, সাঁতার বা যোগাভ্যাস খুবই উপকারী। তবে অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
৪. স্ট্রেচিং করা: প্রতিদিন সকালে বা কাজ শুরু করার আগে গাঁটগুলোর হালকা স্ট্রেচিং করুন। এটি গাঁটের চারপাশের পেশিগুলোকে সচল রাখে এবং আকস্মিক ব্যথা হওয়া কমায়।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ: শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখা জরুরি। কারণ অতিরিক্ত ওজন বিশেষ করে হাঁটুর গাঁটের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
৬. পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান: শীতকালে জল কম পান করার প্রবণতা দেখা যায়, যা গাঁটের পিচ্ছিলতা কমাতে পারে। গাঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সারাদিন ধরে পর্যাপ্ত জল পান করুন।
৭. প্রদাহ-বিরোধী খাবার: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার (যেমন মাছ, আখরোট), হলুদ এবং আদা খাদ্যতালিকায় রাখুন। এইগুলো গাঁটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৮. ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণ: সূর্যের আলোর অভাবে শীতে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হয়। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
৯. সঠিক জুতো ব্যবহার: হাঁটার সময় পায়ের গাঁট এবং হাঁটুতে যাতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে, তার জন্য আরামদায়ক এবং সঠিক মাপের জুতো ব্যবহার করুন।
১০. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: গাঁটে বেশি ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে, সেই গাঁটকে কিছুটা বিশ্রাম দিন। তবে একেবারে নড়াচড়া বন্ধ করে দেবেন না, কারণ তাতে জড়তা বেড়ে যেতে পারে।
