সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক কতটা ক্ষতিকর, তা সকলেই জানেন। এমনকী সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ছবি দিয়েও সতর্ক করা হয় ক্রেতাকে। ফলে জেনেশুনে যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু একই ভাবে সিগারেট না খেয়েও ক্ষতি হতে পারে আপনারও। কী ভাবে? মনে করুন, আপনি সিগারেট খান না। কিন্তু যদি কোনও ভাবে সিগারেটের ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে আপনার শরীরের প্রবেশ করে, তাহলে কিন্তু আপনিও স্বাস্থ্যহানির মুখোমুখি হবেন। আর এ ধরনের প্যাসিভ স্মোকিং থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে আরও বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিগারেটের ধোঁয়ায় রয়েছে সাত হাজারের চেয়েও বেশি রাসায়নিক পদার্থ। এই রাসায়নিকগুলির মধ্যে নিকোটিন, কার্বন মনোক্সাইড, ফরমালডিহাইড, বেঞ্জিন, অ্যামোনিয়ার মতো এমন প্রায় ৭০টি বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে, যা শরীরে ক্যানসার সৃষ্টি করে। ফলে আপনার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে কেউ যদি ধূমপান করে, আর সেই ধোঁয়া যদি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে যায়, তাহলে ক্ষতি হবে আপনারও।
কী কী ক্ষতি হয়?
(১) প্যাসিভ স্মোকিং হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যানসার প্রভৃতির ঝুঁকি কয়েকগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে নিয়মিত যদি আপনি স্মোকারের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে ঝুঁকির মধ্যে পড়বেন।
(২) প্যাসিভ স্মোকিং-এ বিষাক্ত ধোঁয়ার কণা শ্বসনতন্ত্রকে সংক্রমিত করে। ফলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
(৩) ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি(COPD)-এর ঝুঁকি বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় প্যাসিভ স্মোকিং। এছাড়াও অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টের মতো নানা সমস্যা বাড়তে থাকে।
(৪) গর্ভবতী নারীর আশেপাশে ধূমপান করলে তার প্রভাব গর্ভস্থ শিশুর উপরও এসে পড়ে। এমনকী ভবিষ্যতে সেই শিশু ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।
প্রতিরোধ করবেন কী ভাবে?
(১) প্যাসিভ স্মোকারদের ক্ষেত্রে সরাসরি এই ধোঁয়া শ্বাসনালীর মাধ্যমে শরীরের চলে আসে। ফলে, ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই, স্মোকারদের থেকে দূরে থাকুন।
(২)নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে আশেপাশে কেউ ধূমপান করলে তাকে বারণ করুন। অথবা সেই স্থান থেকে সরে দাঁড়ান।
(৩) মাস্ক পরুন। রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় কেউ ধূমপান করলে সেখান থেকে দূরে থাকুন।
(৪) শিশু ও বয়স্কদের কাছাকাছি কেউ ধূমপান করলে তাকে সরাসরি নিষেধ করুন।
