সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতুচক্রে সামান্য অনিয়ম (Irregular Periods) দেখলেই হরমোনাল ইমব্যালেন্স মনে করে ভুল করেন অনেকে। কিন্তু বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ ও ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. আরুশি শেঠি বলছেন অন্য কথা। তাঁর মতে, অনেক সময় দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সমস্যা ঋতুচক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। জীবনযাত্রার সামান্য পরিবর্তনও সাময়িকভাবে ওভিউলেশনে বিলম্ব ঘটাতে পারে।
Advertisement
নেপথ্যে কোন কারণ? ১. মানসিক চাপ: অফিস বা ব্যক্তিগত জীবনের তীব্র মানসিক চাপ।
২. অসুস্থতা: জ্বর বা কোনও সংক্রমণ।
৩. ভ্রমণ: দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণ বা জেট ল্যাগ।
৪. ওজন পরিবর্তন: খুব দ্রুত ওজন বাড়ানো বা কমানো।
৫. অতিরিক্ত এক্সারসাইজ: অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা।
৬. ঘুমের অভাব: ঘুমের রুটিনে বড়সড় বেনিয়ম।
৭. পুষ্টির অভাব: শরীরে আয়রন, ভিটামিন ডি বা বি১২-এর ঘাটতি।
৮. ওষুধ: কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ (যেমন স্টেরয়েড বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট)।
এই কারণগুলি মস্তিষ্কের সঙ্গে ওভারির সিগনালিং-এ বাধা দেয়। এর ফলে ডিম্বাণু নির্গমন বা ওভিউলেশন পিছিয়ে যায়। দ্রুত ওজন কমা বা অতিরিক্ত শরীরচর্চা শরীরকে জানান দেয় যে শক্তিস্তর স্থিতিশীল নয়। তখন শরীর নিজেকে রক্ষা করার জন্য পিরিয়ডের প্রক্রিয়াকে ধীর বা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দেরিতে পিরিয়ড হয় বা রক্তপাত কম হয়।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন
ডা. আরুশি শেঠির মতে, যদি ঋতুচক্র ২-৩ মাসের বেশি অনিয়মিত হতে থাকে। পিরিয়ড ৪৫ থেকে ৬০ দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অথবা রক্তপাত খুব বেশি বা খুব কম হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। বেশিরভাগ অ-হরমোনজনিত সমস্যায় জীবনযাত্রায় সংশোধন আনলে তা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
