সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকাল মানেই এক কাপ উষ্ণ কফির আমেজ। তাপমাত্রা যত কমে, এই বিশেষ পানীয়ের চাহিদা তত বাড়ে। অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালিপেটে কফি পান করেন। তবে, পুষ্টিবিদদের মতে, খালিপেটে কফি না খাওয়াই ভালো। এছাড়া, বিকেলে কফি খাওয়ার সময় অনেকেই এর সঙ্গে বিভিন্ন খাবার মিশিয়ে খেয়ে ফেলেন। কিন্তু এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এবং ক্ষেত্র বিশেষে কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
১) মিষ্টিজাতীয় বেকারি খাবার: কফির সঙ্গে কেক, কুকিজ বা পেস্ট্রির মতো মিষ্টি খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। এর ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ক্লান্তি অনুভব হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
২) দুগ্ধজাত পণ্য: চিজ বা মাখনের মতো উচ্চ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য কফির সঙ্গে খেলে তা দ্রুত হজম হয় না। এক্ষেত্রে পেটে গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) প্রক্রিয়াজাত চিনি: কফিতে অতিরিক্ত চিনি মেশালে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি শরীরের প্রদাহ বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থূলতা ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
৪) ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার: কফি পান করলে তা শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দিতে পারে। কফির সঙ্গে দুধ, পনীর বা অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্যালসিয়ামের সম্পূর্ণ সুবিধা পাওয়া যায় না। এটি শরীরের হাড় দুর্বল করে তোলে। একই সঙ্গে কিডনিতে পাথর তৈরির আশঙ্কা থাকে।
৫) অতিরিক্ত অ্যাসিডিক খাবার: টমেটো, সাইট্রাস ফল বা লেবুর মতো অতিরিক্ত অ্যাসিডিক খাবার কফির সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। কফি নিজেই অ্যাসিডিক। এর সঙ্গে অ্যাসিডিক খাবার খেলে তা পাকস্থলির অ্যাসিডের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয়, ফলে গ্যাস্ট্রাইটিস বা পেটের আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৬) আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: ডিম বা পালংশাকের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কফি পান করলে তা শরীরের আয়রন শোষণকে কমিয়ে দেয়।
তাই, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কফি পানের সময় সঠিক খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
