সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাতৃদুগ্ধ। নবজাতকের প্রথম আহার। পুষ্টিগুণে যার বিকল্প আর কিছুই নেই। অথচ, সম্প্রতি সেই মাতৃদুগ্ধেই ইউরেনিয়ামের মতো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছে। পাটনার মহাবীর ক্যানসার সংস্থান অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি এবং নয়াদিল্লির এইমস যৌথভাবে বিহারের প্রায় ৪০ জন মায়ের স্তনদুগ্ধের নমুনা পরীক্ষা করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই দেশজুড়ে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
এইমস দিল্লির ডা. অশোক শর্মা জানান, "স্তনদুগ্ধ গ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে।" তবে, একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন, মায়েদের স্তনদুগ্ধে যেটুকু ইউরেনিয়াম মিলেছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর অনুমোদিত মাত্রার মধ্যেই রয়েছে। তাই, আপাতত বড়সড় কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
১) বৃক্কের ক্ষতি: ইউরেনিয়াম হল একটি ভারী ধাতু। নবজাতকের অপরিণত কিডনি বা বৃক্কের উপর এটি সরাসরি প্রভাব ফেলে। শিশুর বৃক্কের কার্যকারিতাকে নষ্ট করে দেয়।
২) হাড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত: ইউরেনিয়াম হাড়ে জমা হতে পারে। এটি শিশুদের দ্রুত বৃদ্ধির সময় হাড়ের স্বাভাবিক গঠন ও বিকাশকে প্রভাবিত করে।
৩) ক্যান্সারের ঝুঁকি: ইউরেনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ। দীর্ঘমেয়াদে শরীরে এটি জমতে থাকলে শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি (বিশেষত লিউকেমিয়া) বাড়তে পারে।
৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: বিষাক্ত পদার্থগুলি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। ফলে তারা ঘন ঘন সংক্রমণের শিকার হয়।
৫) স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ: কিছু ভারী ধাতু শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে। ইউরেনিয়াম উচ্চ মাত্রায় থাকলে স্নায়ুতন্ত্রের উপর এর বিরূপ প্রভাব তৈরি হয়।
