সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডায়াবেটিস এখন ঘরে ঘরে। রোগটি নিয়ে আরও বেশি করে সচেতন থাকা দরকার। কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধে একাধিক অসুস্থতা। হঠাৎ করে চোখে ঝাপসা দেখলে মনে হতেই পারে, চোখের পাওয়ার বেড়েছে। কিন্তু কোনও ভ্রান্ত ধারণায় না থেকে তক্ষুনি চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যান। কারণ, ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির মতো মারাত্মক চোখের রোগ। তাই, আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করান।
কী এই ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি?
ডায়াবেটিসের কারণে চোখের পেছনের আলো-সংবেদনশীল অংশ রেটিনার রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে কেউ ডায়াবেটিসে ভুগলে এটি তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে রেটিনার রক্তনালীগুলি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। এর প্রাথমিক লক্ষণ ঝাপসা দৃষ্টি হলেও, সঠিক চিকিৎসা না হলে এটি স্থায়ী অন্ধত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কী কী লক্ষণে আগাম সতর্ক হবেন?
(১) দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে যায়।
(২) চোখের সামনে ছোট ছোট কালো বিন্দু, সুতো বা পোকার মতো কিছু ভেসে বেড়াতে দেখা যায়। এটি সাধারণত চোখের ভেতরে রক্তক্ষরণ হলে ঘটে।
(৩) কম আলোতে বা রাতে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
(৪) যেকোনও বর্ণকে ফ্যাকাশে বা আবছা মনে হওয়া, অথবা রং আলাদা করে দেখতে সমস্যা হওয়া।
(৫) দৃশ্যের নির্দিষ্ট কোনও অংশ দেখতে না পারা বা চোখের সামনে একটি কালো বা ছায়াযুক্ত এলাকা তৈরি হওয়া।
(৬) চোখের ভেতরে বড় ধরনের রক্তক্ষরণ হলে বা রেটিনাতে অস্বাভাবিক ক্ষতি হলে হঠাৎ করে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
এমনটা দেখা গেলে কী করবেন?
এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। রোগ কতটা থাবা বসিয়েছে তা যাচাই করুন। রক্তে শর্করা, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন। এটি সবচেয়ে জরুরি। রেটিনার ক্ষতি কমাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করান। নিয়মিত দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করান। অনেক সময় লেজার থেরাপি কিংবা চোখের ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে দৃষ্টিশক্তি আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। তাই, চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলুন। নতুবা সামান্য অবহেলায় ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ।
