গৌতম ব্রহ্ম: স্তন ক্যানসার মোকাবিলায় এবার 'পিঙ্ক করিডর'। উদ্দেশ্য একটাই। দ্রুত স্তন ক্যানসার নির্ণয় করে সমূলে তা বিনাশ করা। ক্যানসারমুক্ত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাওয়া। চলতি বছরই পঁচিশ পূর্ণ করছে পিজি হাসপাতালের ব্রেস্ট ক্লিনিক। সেই উপলক্ষেই স্বাস্থ্য দপ্তর ও কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে 'পিঙ্ক করিডর' প্রকল্প। প্রথমে শহরাঞ্চলে, তারপর গ্রামাঞ্চলে ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে এই অভিনব প্রকল্প। গড়ে তোলা হবে এমন এক করিডর যার রোডম্যাপ ধরে রোগনির্ণয় থেকে চিকিৎসা, সব দ্রুত সম্পন্ন হবে।
পিজির ব্রেস্ট ক্লিনিকের প্রাণপুরুষ অধ্যাপক ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার জানালেন, "মহিলারা নিজেরাই বাড়িতে বসে নিজেদের স্তন পরীক্ষা করে রোগনির্ণয় করবেন। সেই লক্ষ্যপূরণে তৈরি হয়েছে সরকারি ভিডিও। যা বাড়ি বাড়ি ঘুরে মহিলাদের দেখাবেন আশাকর্মীরা। উদ্দেশ্য, স্তন ক্যানসার নির্ণয় করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা। শুধু দেখানোই নয়, বিশেষ কিউআর কোড স্ক্যান করিয়ে মহিলাদের স্মার্ট ফোনে এসএসকেএম হাসপাতালের তৈরি সেই ভিডিও আপলোডও করিয়ে দেবেন আশাকর্মীরা। যাতে করে স্বাস্থ্যকর্মীদের অবর্তমানেও মহিলারা নিজেদের স্তন পরীক্ষা করতে পারেন।" শনিবার কলকাতার পিজি হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে এই অভিনব প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন তথা সাংসদ মালা রায়। উপস্থিত থাকার কথা স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের।
এই বিষয়ে আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সড়গড় করতে লম্বা ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ন'জন চিকিৎসক স্তন ক্যানসারের একাধিক বিষয় নিয়ে সহজ-সরল ভাষায় প্রশিক্ষণ দেবেন। এখানেই শেষ নয়, স্তন ক্যানসারকে হারিয়ে সদর্পে জীবনকে উপভোগ করা 'দিশা ফর ক্যানসার'-এর সদস্য একঝাঁক মহিলাও এদিন আশাকর্মীদের সঙ্গে নিজেদের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন। এমনটাই জানালেন দিশা-র কর্ণধার ডা. অগ্নিমিতা গিরি সরকার। বললেন, "প্রথম দিকে ধরা পড়লে স্তন ক্যানসার সেরে যায়। তাই এই কর্কটাসুরকে জব্দ করতে সচেতনতাই ব্রহ্মাস্ত্র। তাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে আশাকর্মীরা ভিডিও দেখাবেন মহিলাদের। আপলোড করিয়ে দেবেন স্মার্ট ফোনে। যা দেখে যে কেউ স্ক্রিনিং করে নিজের স্তনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে পারবেন।"
