সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণত প্রাপ্তবয়স্করাই ডায়াবেটিসের শিকার হন। কিন্তু বর্তমানে শিশু ও কমবয়েসিদের মধ্যে মারাত্মকভাবে ডায়াবেটিস রোগটি দেখা দিচ্ছে। শৈশবেই যদি ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগ হানা দেয়, তাহলে আগেভাগে সতর্ক হতে হবে বাবা-মাকে। কারণ ডায়াবেটিসের মতো নীরব ঘাতক একই সঙ্গে অন্যান্য রোগকে ডেকে আনে। ফলে, আগেভাগে লক্ষণ বুঝে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শমতো না চললে অসুস্থতা ক্রমশ জটিল রূপ ধারণ করবে। শিশুরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসে? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন ডাঃ গৌরব ভাদুড়ী।
ছোটদেরও ডায়াবেটিস হতে পারে। এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণত, দু'ধরনের ডায়াবেটিস বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায়— টাইপ ১ এবং টাইপ ২।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটিই বেশি দেখা যায়। এটি একটি অটো-ইমিউন রোগ। এখানে দেহের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভুল করে কাজ করে। আমাদের শরীরের কোষই নিজের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করে।
এই রোগ প্রতিরোধ কোষগুলি প্যানক্রিয়াসের ইনসুলিন তৈরি করা কোষগুলিকে নষ্ট করে দেয়। এর ফলে প্যানক্রিয়াস আর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। ইনসুলিন ছাড়া শরীরের কোষে শক্তি পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বিপদজনকভাবে বেড়ে যায়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস তুলনামূলকভাবে কম দেখতে পাওয়া যায়। এটি সাধারণত জীবনযাত্রা এবং পরিবারে কারও থাকলে ঘটতে পারে। যদি পরিবারে অর্থাৎ নেক্সট জেনারেশনে কারও ডায়াবেটিস থাকে, তবে টাইপ ২ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এটি টাইপ ১ থেকে ভিন্ন। কারণ, টাইপ ২-তে প্রধানত বংশগত যোগসূত্র দেখা যায়। এই রোগটি সঠিক সময়ে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরি।
কোন কোন লক্ষণ দেখে আগাম সতর্ক হবেন?
(১) বারে বারে জল তেষ্টা পাওয়া ও গলা শুকিয়ে যাওয়া।
(২) ঘন ঘন প্রস্রাব।
(৩) শিশুর ওজন কমে যাওয়া।
(৪) বিছানায় অনেক বড় বয়েসেও যদি প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটে, তাহলে আগাম সতর্ক হোন।
(৫) অল্পেই ক্লান্তি ও ঝিমুনি, ঘুমের সমস্যা ও অস্বস্তি ভাব।
এই লক্ষণগুলি আপনার শিশুর মধ্যে দেখতে পেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
