সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় কথায় অনেককেই মাথা গরম করতে দেখা যায়। আর মাথা গরম করলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। এমনটা প্রায়ই শোনা যায়। তবে, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। রাগের সঙ্গে নাকি রক্তচাপের কোনওই সম্পর্ক নেই।
কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মানসিক চাপের সময় রক্তচাপ সাময়িকভাবে বাড়ে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন তৈরি করার ক্ষেত্রে রাগ বা ক্রোধের সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই।
ফাইল ছবি
বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. নাগামল্লেশ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের সঙ্গে রাগের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। উচ্চ রক্তচাপ মূলত বয়স, জিনগত কারণ ও জীবনযাত্রার উপর নির্ভর করে। ৪০-৫০ বছরের বেশি বয়সীদের এটি নিয়ম করে পরীক্ষা করানো উচিত। তবে বর্তমানে ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর ও অলস জীবনযাত্রার কারণে কম বয়সীদের মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপের দেখা মিলছে। ড. নাগামল্লেশ মনে করেন, ক্রোধ একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। এটি হৃদপিণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। হৃদপিণ্ড হল একটি রক্ত পাম্প করার পেশি মাত্র।
রাগের তীব্র প্রকাশ সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়ালেও, এটি স্থায়ী হাইপারটেনশন তৈরি করে না। রাগের পাশাপাশি ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত ভোজন কিংবা অপর্যাপ্ত ঘুমের মতো খারাপ অভ্যাসগুলিই দীর্ঘমেয়াদী হাইপারটেনশনের আসল কারণ।
হাইপারটেনশনের আসল কারণ কী?
(১) রাগ ক্ষণিকের জন্য রক্তচাপ বাড়ায়, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হাইপারটেনশন তৈরি করে না।
(২) বয়স, জিন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, স্থূলতা এবং অলস জীবনযাত্রা উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ।
(৩) ফাস্ট ফুড, ডেস্ক জব এবং ব্যায়ামের অভাবে ৩০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে রক্তচাপ বাড়ছে। তাই আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখতে মেজাজ নয়, জীবনযাত্রার নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
ফাইল ছবি
আগাম সতর্ক হবেন কীভাবে?
(১) ৩০-এর পর বছরে একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করান।
(২) শান্ত মানুষেরও উচ্চ রক্তচাপ থাকতে পারে।
(৩) রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রাণায়াম করুন।
(৪) ধূমপান ছাড়ুন, শরীরচর্চা করুন। বাইরে থেকে কেনা খাবার কম খান। এগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
