সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকাল এলেই ত্বক খসখসে হতে শুরু করে। এমনিতেই এই সময় জল খাওয়া কম হয়। ফলে, ডিহাইড্রেশনের কারণে এমনটা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে এই খসখসে ত্বকের নেপথ্যে থাকে জেনেটিক সমস্যা কিংবা ডায়াবেটিসের প্রভাব। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু যদি দেখেন আপনার ত্বক মাছের আঁশের মতো মোটা, রুক্ষ এবং খসখসে হয়ে যাচ্ছে, তাহলে হয়তো সেটা আর সাধারণ শুষ্কতা নয়। এই বিশেষ চর্মরোগটির নাম ইকথিয়োসিস ভলগারিস।
কী এই ইকথিয়োসিস?
ইকথিয়োসিস ভলগারিস মূলত একটি জেনেটিক সমস্যা। সাধারণত, ত্বকের অভ্যন্তরে স্বাভাবিকভাবে ময়েশ্চার ধরে রাখার যে ক্ষমতা থাকে, তা কমে গেলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। ত্বকের কোষগুলি তখন সঠিকভাবে ঝরে যেতে পারে না। ফলে ত্বকের উপরিভাগ ধীরে ধীরে মোটা হয় এবং আঁশের মতো খোসা তৈরি করে।
এই রোগের প্রধান লক্ষণ
১) ত্বক খুব বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।
২) ত্বকে খসখসে ভাব দেখা যায় এবং মাছের আঁশের মতো স্তর তৈরি হয়।
৩) লক্ষণগুলো সাধারণত শীতকালে বা শুষ্ক আবহাওয়ায় আরও বাড়তে থাকে।
৪) কনুই, হাঁটু এবং পায়ের সামনের দিকে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ইকথিয়োসিস ভলগারিস যেহেতু একটি বংশগত রোগ, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এই রোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। এটি শুধুমাত্র ত্বকের লক্ষণগুলির উপর কাজ না করে, রোগীর সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ভিত্তিতে চিকিৎসা হয়ে থাকে। ফলে সঠিক ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগটির মূল কারণকে দূর করা সম্ভব হয়। এই রোগের চিকিৎসায় সাধারণত যে ঔষধগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়, সেগুলো হল—পেট্রোলিয়াম, গ্রাফাইটিস, সালফার, ন্যাট্রাম মিউর, এবং ক্যালকেরিয়া কার্ব প্রভৃতি। একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শমতো চললে রোগের প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
