সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নভেম্বরের শুরু। এই সময় বাজারে দেখা পাওয়া যায় রাঙা আলুর। শীতকালীন এই সবজি বেশ পরিচিত। শরীরকে উষ্ণ রাখতে রাঙা আলুর তুলনা নেই। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে, রাঙা আলুকে বাত ও কফ দোষ বিনাশকারী বলা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিক রোগীরাও এই আলু খেতে পারেন। তবে, যাঁরা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য রাঙা আলু একটি মোক্ষম দাওয়াই।
মিষ্টি আলুতে থাকে বিটা-ক্যারোটিন (যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়), ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন 'এ' মূত্রনালী সহ শ্লেষ্মা ঝিল্লির স্বাস্থ্য অক্ষুণ্ণ রাখে। স্বাস্থ্যকর মিউকোসাল স্তর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রুখতে বিশেষ কার্যকরী। রাঙা আলুতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন, ফ্ল্যাভোনয়েড প্রভৃতি উপাদানের রয়েছে প্রদাহবিরোধী গুণ। ইউটিআই-এর কারণে সৃষ্ট মূত্রনালীর প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া কমাতে এই উপাদানগুলো সহায়ক।
এছাড়াও মিষ্টি আলু পটাশিয়ামের ভালো উৎস। পটাশিয়াম একটি ইলেক্ট্রোলাইট যা শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং হালকা ডিউরেটিক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রবণতা তৈরি হয়। এটি মূত্রনালী থেকে ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিনগুলিকে বের করে দেয়। ফলে, সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এছাড়া মিষ্টি আলুতে থাকা ফাইবার হজমতন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে, যা মলদ্বার থেকে মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়া বা ইউটিআই হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া যদি তীব্র হয়, বা জ্বর, পেটে ব্যথা, বমিভাবের মতো অন্যান্য লক্ষণ থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
