shono
Advertisement
Uric Acid

শীতকালে গাঁটের ব্যথায় নাকাল! ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কীভাবে?

জানুন চিকিৎসকের মতামত।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 04:57 PM Dec 12, 2025Updated: 06:50 PM Dec 12, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালে নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid) সমস্যাও এই সময় বেশি দেখা দেয়। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে অনেক সময় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে। এর ফলে কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা বাড়ে। ইউরিক অ্যাসিড হল পিউরিন নামক রাসায়নিক পদার্থের বিপাক শেষে তৈরি হওয়া বর্জ্য পদার্থ। আমাদের শরীরে এটি তৈরি হয় এবং রক্তে মিশে কিডনির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। যখন এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, তখনই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। এর ফলে গাঁটে ক্রিস্টাল জমা হয় এবং তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এই অবস্থাকে গাউট বা গেঁটে বলে।

Advertisement

ইউরিক অ্যাসিড কেন বাড়ে?
ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার মূল কারণ হল পিউরিন-সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ।
১. খাসি বা ভেড়ার মাংস এড়িয়ে চলুন।
২. সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিউরিন থাকে। সামুদ্রিক কাঁকরা, চিংড়ি প্রভৃতি খাবেন না।
. মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
৪. টক জাতীয় ফল খাবেন না। লেবু, তেঁতুল, আমলকি প্রভৃতি এড়িয়ে চলুন।
৫. বাজার চলতি কোনও হেলথ ড্রিঙ্কস একদম নয়।

ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার প্রধান লক্ষণ
১. সাধারণত পায়ের বুড়ো আঙুলে অসহ্য ব্যথা শুরু হয়।
২. গাঁট ফুলে ওঠে এবং গরম হয়ে ওঠে।
৩. ব্যথার কারণে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয়।
৪. ঘন ঘন প্রস্রাব।
৫. গা-গোলানো ভাব।
৬. পিঠের দুপাশে ব্যথা।

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের উপায়
১.
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করা আবশ্যক। এটি শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সাহায্য করে।
২. পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার কঠোরভাবে এড়িয়ে চলুন।
৩. অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমানোর চেষ্টা করুন।
৪. নিয়মিত হালকা শরীরচর্চা করুন।
. শীতে শরীর গরম রাখুন, বিশেষ করে গাঁটগুলো ঢেকে রাখুন।
৬. তীব্র ব্যথা বা দীর্ঘদিনের সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে অনেক সময় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে।
  • ইউরিক অ্যাসিড হল পিউরিন নামক রাসায়নিক পদার্থের বিপাক শেষে তৈরি হওয়া বর্জ্য পদার্থ।
  • আমাদের শরীরে এটি তৈরি হয় এবং রক্তে মিশে কিডনির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
Advertisement