সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি ও এনসিআর (হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের কিছু সংলগ্ন জেলা)-এ বায়ুর গুণমান সাম্প্রতিক সময়ে 'সিভিয়ার' ও 'সিভিয়ার প্লাস' ক্যাটেগরিতে পৌঁছেছে। বেশিরভাগ এলাকায় বায়ুর গুণমান সূচক (AQI) ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নিরাপদ সীমার থেকে ৩০ গুণেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা সকলের সুস্থতার জন্য জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই দিল্লির সকল বাসিন্দাকে এখন থেকে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
ডাঃ অম্বরীশ মিত্তল বলেছেন, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তিন মাস ধরে দিল্লি ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে থাকে। এই সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি মানুষের ত্বকে পৌঁছাতে পারে না। পর্যাপ্ত রোদের অভাবে ত্বক তাই ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে না।
তিনি দিল্লি ও এনসিআর বাসিন্দাদের দৈনিক সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক ২,০০০ আইইউ (IU) ডোজ দরকার। কিশোর-কিশোরীদের জন্য ১,০০০ আইইউ এবং ছোটদের জন্য ৬০০-১,০০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজনের শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি রয়েছে। পূর্ব ভারতে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৩৯ শতাংশ মানুষ এতে আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বায়ুদূষণের কারণে সূর্যের UVB রশ্মি আটকে যাচ্ছে। এমনকী যারা বাইরে সময় কাটাচ্ছেন, তারাও পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাচ্ছেন না। PM2.5 কণা ফুসফুসের গভীরে ঢুকে হৃদরোগ এবং শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
তবে চিকিৎসকরা অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট নিতেও সতর্ক করেছেন। অত্যধিক ভিটামিন ডি সেবনে বমিভাব বা কিডনিতে বাড়তি চাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে দূষণের এই সময়ে দৈনিক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ একটি প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।
