সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনার শিশুর নাভির চারপাশে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা। সঙ্গে বমি বমি ভাব। খাওয়ার আগ্রহও হারিয়ে ফেলেছে। আপনি হয়তো হজমের সমস্যা কিংবা পেটের অন্য কোনও রোগ ভেবে ব্যাপারটাকে খুব একটা পাত্তা দিলেন না। এমনটা ঘটলে ভুলেও অবহেলা করবেন না। এই ব্যথা যদি তিনদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই তা অ্যাবডমিনাল মাইগ্রেন হতে পারে। ভাবছেন হয়তো, মাইগ্রেনের ব্যথা তো মাথায় হয়! এখানে 'পেট' এল কোথা থেকে? আজ্ঞে হ্যাঁ, মাইগ্রেনের ব্যথা পেটেও হয়, একে বলে অ্যাবডমিনাল মাইগ্রেন।
কী এই অ্যাবডমিনাল মাইগ্রেন?
এক্ষেত্রে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা মাথায় নয়, পেটে দেখা দেয়। সাধারণত দশ বছরের নিচে থাকা শিশুদের অ্যাবডমিনাল মাইগ্রেন বেশি দেখা যায়। মস্তিষ্কের স্নায়ু ও রাসায়নিক পদার্থে (যেমন সেরোটোনিন) অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটলে এই ব্যথা শুরু হয়। এই ব্যথা পেটের উপরের দিকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাথায় কোনও রকম ব্যথা হয় না। সাধারণত বংশগত কারণে এমন মাইগ্রেন বেশি দেখা দেয়। পরিবারে কারও থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেও তা হতে পারে।
প্রধান লক্ষণ কী?
(১) পেটের মাঝখানে, সাধারণত নাভির চারপাশে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হয়।
(২) ব্যথার সঙ্গে বমি ভাব বা বমি হওয়া খুবই সাধারণ।
(৩) রোগীর ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফ্যাকাশে দেখায়।
(৪) রোগী খাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
(৫) অত্যধিক ক্লান্তি দেখা দেয়।
(৬) ব্যথা সাধারণত ১ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা (৩ দিন) পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
যদি দেখেন যে পেটে ব্যথা বারবার ফিরে আসছে এবং উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে অন্তত দুটি লক্ষণ উপস্থিত রয়েছে, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের (বিশেষত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ) পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, সঠিক রোগ নির্ণয় না হলে ভুল চিকিৎসা হতে পারে।
