shono
Advertisement
Silent Stroke

ঘন ঘন মুড সুইং! 'সাইলেন্ট স্ট্রোকে' আক্রান্ত নন তো আপনি?

সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণায় উঠে এসেছে নয়া তথ্য।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 07:17 PM Nov 07, 2025Updated: 07:17 PM Nov 07, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘন ঘন মুড সুইং হচ্ছে? মনোযোগ দিতে পারছেন না কোনও কাজে? ভুলেও যাচ্ছেন বহু কথা। মনে রাখতে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকী কোনও কারণ ছাড়াই ক্লান্তি বোধ! ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে মানসিক অবস্থার! তাহলে কিন্তু আগেভাগে সাবধান হওয়া দরকার। কারণ এই উপসর্গগুলোই হল 'সাইলেন্ট স্ট্রোকের' মূল লক্ষণ। হ্যাঁ, সহজে চেনা যায় না এই রোগ। ব্রেন স্ট্রোকের মতো কোনও গোদা উপসর্গও নেই। আর একারণেই সহজে ধরা পড়ে না।

Advertisement

সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এমনটাই জানা যাচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, সাইলেন্ট স্ট্রোক আগাম জানান দিয়ে আসে না। এটি উপসর্গ ছাড়াই ঘটে। মস্তিষ্কের কোনও অংশে রক্ত চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হলেও এর উপসর্গ সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পায় না। ব্রেন স্ট্রোকের মতো কথা জড়িয়ে যাওয়া, হাত-পা অবশ হওয়ার মতো কোনও লক্ষণ সামনে আসে না। এটি সাধারণত এমআরআই স্ক্যানে ধরা পড়ে। ঘন ঘন সাইলেন্ট স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি হয় এবং পরে ডিমেনশিয়া বা বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

সাইলেন্ট স্ট্রোক কেন হয়?
মস্তিষ্কের ছোট রক্তনালীগুলি ব্লক হয়ে গেলে এটি ঘটে। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ধূমপান এবং বার্ধক্যজনিত কারণে রক্তনালী সরু হয়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এই রক্তনালীগুলোতে কোনও কারণে রক্ত জমাট বেঁধে আটকে গেলে মস্তিষ্কের কোষগুলো নিস্তেজ হয়ে পরে। সেগুলি তখন আর কোনও সংকেত বহন করতে পারে না। ফলে বারে বারে ভুলে যাওয়া, বিভ্রান্তি প্রভৃতি সমস্যা তৈরি হয়।

কীভাবে সতর্ক হবেন?
১. নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করান।

২. কম লবণ, কম চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খান। ট্রান্স ফ্যাট এবং অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন।

৩. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করুন।

৪. সম্পূর্ণভাবে ধূমপান ত্যাগ করুন এবং মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দিন।

৫. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৬. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।

৭. নিয়মিত কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান।

৮. গলার ক্যারোটিড ধমনীতে চর্বি জমেছে কিনা, তা মাঝে মাঝে পরীক্ষা করান।

৯. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এমআরআই বা সিটি স্ক্যান করে মস্তিষ্কের অবস্থা নির্ণয় করুন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গবেষকরা বলছেন, সাইলেন্ট স্ট্রোক আগাম জানান দিয়ে আসে না। এটি উপসর্গ ছাড়াই ঘটে।
  • ঘন ঘন সাইলেন্ট স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি হয় এবং পরে ডিমেনশিয়া বা বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
  • মস্তিষ্কের কোষগুলো সংকেত বহন করা বন্ধ করে দেয়।
Advertisement