সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রজনন ক্ষমতাও কমতে থাকে। কমতে থাকে পুরুষের শুক্রানুর মান। এবং সংখ্যা। সম্প্রতি পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণা চালিয়েছে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস নামের মেডিক্যাল জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের মতো পুরুষদেরও বয়সের কারণে উর্বরতা কমে আসে। ইন্দিরা আইভিএফ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ডঃ বিশাল ঠাকুর বয়সের সঙ্গে পুরুষদের শুক্রাণুর অবনতির প্রক্রিয়াটি খোলসা করেন।
৩৫-এর পর থেকে পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মান কমতে শুরু করে। ৪০ বছরের পর এই পরিবর্তন আরও দ্রুত হয়। শুক্রাণুর সচলতা বা গতি কমে যায়। বীর্যের পরিমাণও হ্রাস পায়। অস্বাভাবিক আকারের শুক্রাণুও বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি, বয়সের কারণে শুক্রাণুর ভেতরের জেনেটিক উপাদান বা ডিএনএ-র ক্ষতির ঝুঁকিও বাড়ে। এর মানে এই নয় যে পুরুষরা আর বাবা হতে পারবেন না। তবে স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। এমনকী আইভিএফ বা আইসিএসআই-এর সাফল্যের হারও কমতে পারে।
কেন এই পরিবর্তন ঘটে?
বয়স বাড়লে প্রজননতন্ত্রে বিভিন্ন প্রভাব পড়তে থাকে। ধীরে ধীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এছাড়াও, টেস্টিসের কার্যকারিতাও কমে আসে। এর ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণগত মান উভয়ই কমে যায়।
প্রতিহত করবেন কীভাবে?
প্রজন ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার নেপথ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আমাদের রোজকার লাইফস্টাইল। বয়েস বেড়ে যাওয়ার চেয়েও বেশি ক্ষতি করে আমাদের দৈনন্দিন জীবন। খাদ্যাভাস থেকে শুরু করে শরীরচর্চা, এমনকী ঘুমেরও ভূমিকা রয়েছে ফার্টিলিটি বজায় রাখার জন্য। তাই চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়িওম মেনে সঠিক জীবন-যাপনে এই সমস্যা কিছুটা হলেও প্রতিহত করা যেতে পারে।
