সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নভেম্বরে তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করেছে। অনেকেই ঋতু বদলের এই সময় সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। নাক থেকে জল পড়তে দেখা যায়। চোখ ফোলা কিংবা গালের ত্বকে চুলকানিও দেখা যায়। এই উপসর্গ আমাদের পরিচিত। তবে, এই লক্ষণগুলি যদি লাগাতার আপনাকে বিরক্ত করতে থাকে তাহলে আগেভাগে সাবধান হোন। এটি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস নয় তো?
অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের লক্ষণ কী?
(১) কোনও অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলেই বারবার হাঁচি হতে থাকে।
(২) নাক থেকে পাতলা জলের মতো শ্লেষ্মা বের হতে থাকে।
(৩) শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া।
(৪) নাক, চোখ, গলা বা কানের ভেতরে চুলকানি।
(৫) চোখ লাল হয়ে জল ঝরতে থাকে।
(৬) রাতে গলার পিছনে শ্লেষ্মা পড়ার কারণে অনবরত কাশি।
এর হাত থেকে বাঁচতে কী কী করবেন?
রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। আপনার কীসে অ্যালার্জি হয় তা জেনে নিয়ে সেগুলি এড়িয়ে চলুন। বালিশ, তোশক এবং লেপ-কম্বলে অ্যালার্জেন-ব্লকিং কভার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে একবার গরম জলে বিছানার চাদর ও বালিশের কভার ধুয়ে নিন। সকালে ও বিকালে জানলা-দরজা বন্ধ রাখুন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই পোশাক পালটে ফেলুন। সম্ভব হলে স্নান করে নিন। বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন। পোষ্য প্রাণী থেকে দূরে থাকুন। ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে HEPA ফিল্টার যুক্ত এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। সিগারেটের ধোঁয়া এবং অন্যান্য কড়া গন্ধ বা রাসায়নিক এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত নুন জল দিয়ে নাক ধুতে পারেন। এতে নাকের ভেতরের অ্যালার্জেন ও শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয়।
যদি প্রতিরোধের পরেও উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার না দেখিয়ে অনেকেই দোকান থেকে বলে অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট বা নেজাল কর্টিকোস্টেরয়েড স্প্রে কিনে ব্যবহার করেন। এমনটা ভুলেও করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তবেই ওষুধ খান।
