সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতুস্রাবের সময় অনেকেই নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন। পেটে-কোমরে যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব, ঘন ঘন ঘুম পাওয়া, ক্লান্তি, মুড সুইং এইসবই ওই বিশেষ দিনগুলোর সঙ্গী। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পাশাপাশি অনেকেরই ঋতুস্রাবের চক্র বেশ কয়েকদিন ধরে চলে। দশ-পনেরো দিনও স্থায়ী হয়। তা বলে ১০০০ দিন? হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এমনই বিরল রোগের শিকার মার্কিন তরুণী। যে কারণে এখন মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম পপি। তিনি টিকটক বেশ জনপ্রিয়। নিজেই পপি তাঁর এই রোগের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। সাধারণত মেয়েদের ঋতুস্রাব ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হয়। যার থাকে ২ থেকে ৭ দিন। বয়স, হরমোনগত সমস্যা, লাইফস্টাইলের উপর এই বিষয়গুলো নির্ভর করে। আমেরিকার এক সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৪ থেকে ২৫ শতাংশ মহিলার অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। কিন্তুর পপির সমস্যাটি একদমই বিরল। তিনি জানিয়েছেন, শরীরে আয়রনের মাত্রায় ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। একটানা তলপেটে যন্ত্রণা, মাথার যন্ত্রণা, সেই সঙ্গে বমি বমি ভাব, শরীর ভেঙে পড়ে।
১০০০ দিন ধরে পপির ঋতুস্রাব চলছে। ঋতুস্রাবের ২০-২৫ দিনের পর তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। সেই মতো ওষুধ খান। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। দিনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরাও। প্রথমবার আলট্রাসোনোগ্রাফিতেই বিষয়টা খানিকটা বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু এরপর আরও সঠিকভাবে বিষয়টি বুঝতে একের পর এক পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তখন আর কিছুই বোঝা যায়নি কেন এরকম হচ্ছে। অবশেষে ৯৫০ দিনের মাথায় ধরা পড়ে কেন এমন হচ্ছে।
রিপোর্টে জানা যায়, সিস্টের পাশাপাশি পপির জরায়ু হৃদয় আকৃতির। অর্থাৎ একটি নয় দুটি জরায়ু এক সঙ্গে জোড়া। যা বিরল। গোটা বিশ্বে ৫ শতাংশ মহিলার এরকম হয়। আর এর জেরেই ১০০০ দিন ধরে টানা চলেছে ঋতুস্রাব। এতে শারীরিক দিকে স্বাভাবিকভাবেই অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন পপি। প্রভাব পড়েছে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যেও। আপাতত চিকিৎসকদের পরামর্শে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন পপি। সকলে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে যদি ঋতুস্রাব স্থায়ী হয় তাহলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।