সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুপুরবেলা ভরপেট ভাত খাওয়া আর তারপর ভাতঘুম- এতো বাঙালির চিরকালিন অভ্যাস। দুপুরে লাঞ্চ করে অনেকেই আলস্যবোধ করেন। কাজে মন লাগে না। একটু জিরিয়ে নিতে মন চায়। কিন্তু কী কারণে দুপুরে খাওয়ার পর অলস লাগছে তা কি জানা আছে? খাদ্যাভ্যাসে নেই তো কোনও গলদ! চনমনে থাকতে কী করবেন, রইল হদিশ।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন শৈলীতে অল্প কিছু বদল আনলেই আপনিও থাকতে পারবেন চনমনে, এনার্জিতে ভরপুর। কী সেই বদল? প্রথমেই দরকার ব্যালেন্সড ডায়েট।
ব্যালেন্সড ডায়েট: খাদ্য তালিকা সবসময় সুসম হওয়া বাঞ্ছনীয়। দুপুরের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে পাস্তা, পেস্ট্রি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, চিনিযুক্ত খাবার। এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে শরীরে ক্লান্তি আনে। তার ফলে বাড়ে আলস্য। এর হাত থেকে বাঁচতে দুপুরের মেনুতে রাখতে হবে সাদা ভাত বা ব্রাউন রাইস, রুটি, চিকেন, মাছ, সবজি, টোফু, পনীর, অ্যাভোকাডো প্রভৃতি। নজর রাখতে হবে খাদ্য তালিকায় যাতে শর্করা-ফ্যাট ও প্রোটিনের ব্যালেন্স থাকে, তবেই আলস্য কাটানো সম্ভব।
ভারি ও তৈলাক্ত খাদ্য বর্জন- আলস্য কাটাতে যেকোনও ধরনের ভারি ও তৈলাক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। এগুলি যেমন হজমের গোলমাল ঘটায় তেমনি শরীরকে অলস করে দেয়। এছাড়া এই ধরনের পদ খেতে সুস্বাদু হলেও তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
খাওয়ার আগে ও পরে জলপান- শরীরকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত জলপান করা জরুরি। খাওয়ার আগে ও পরে নিয়ম করে পরিমাণ মতো জলপান করতে হবে।
নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস- দুপুরবেলা কব্জি ডুবিয়ে না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে আহার করলে অনেকটাই চনমনে থাকা সম্ভব।
খাওয়ার পর হাঁটা- দুপুরে খাওয়ার পর ১০- ১৫ মিনিটের হাঁটা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। এটি যেমন হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তেমনি দেহে রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রেখে সতেজ থাকতে সাহায্য করে।