সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু ফিটনেস এনথুজিয়াস্টের পছন্দের তালিকাতেই রয়েছে এবিসি শরবত। এমনকী সেলিব্রিটিরাও নিজের ডায়েট চার্টে এই পানীয়টিকে রাখতে পছন্দ করেন। মালাইকা অরোরা বা করিনা কপুরের ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই তার প্রমাণ মেলে। তবে সম্প্রতি পুষ্টিবিদরা বলছেন, এবিসি শরবতে চিনির পরিমাণ অত্যধিক থাকায় হিতে বিপরীত ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই শরবতের পরিবর্তে নিয়মিত এবিসি আচার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিদেরা। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবিসি আচারের কোনও বিকল্প নেই। শুধু হজমশক্তি নয়, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর জুড়ি মেলা ভার। শুধু কি তাই? নিয়মিত এবিসি আচার খেলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে আপনার।
এবিসি আচার হল আমলকি, বিট এবং গাজরের মিশ্রণ। উপাদান- আমলা, বিট, গাজর, লবণ এবং জল। এছাড়াও রয়েছে মৌরি, জিরে ও লঙ্কা। এই উপাদানগুলিকে টুকরো করে লবণ জলে মিশিয়ে প্রাকৃতিকভাবে গেঁজিয়ে তুলে এই আচার তৈরি করা হয়।
উপকারিতা কী?
'এবিসি আচার' হল আমলকি, বিট এবং গাজরের পুষ্টিকর মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের ফার্মেন্টেড আচার। এটি প্রোবায়োটিক হওয়ায় পেটের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জুসের তুলনায় এই আচারে চিনি কম থাকে এবং ফার্মেন্টেডের কারণে উপকারী ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়, যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। অন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখে। আমলকির ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বিট রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, এবং গাজরের ফাইবার ও বিটা-ক্যারোটিন দেহের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে। বিটরুটে থাকে নাইট্রেট আর বিটাল্যানিন। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং রক্তনালীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। সামগ্রিক ভাবে দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই আচার।
