সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। তাপমাত্রার পারদ কমতে শুরু করেছে। সকাল ও রাত্রিবেলায় বেশ ঠান্ডা পড়ছে। আবহাওয়া বদল স্পষ্ট টের পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় জ্বর-সর্দিকাশি কিংবা গলাব্যথার মতো সমস্যা লেগেই থাকে। গলার মধ্যে যেন সর্বক্ষণ কাঁটার মতো কিছু একটা বিঁধতে দেখা যায়। কিন্তু এসব দেখে তড়িঘড়ি দোকান থেকে কিনে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে যাবেন না যেন! কারণ, শীতকালে গলা খুসখুস বা গলায় অ্যালার্জি বেশি দেখা যায়। এই সময় ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাসের কারণে শ্লেষ্মা ঝিল্লি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই অ্যালার্জেন ও জীবাণু সহজেই শ্বাসতন্ত্রে থাবা বসায়।
(১) শীতের শুষ্ক ঠান্ডা আবহাওয়া সরাসরি গলা এবং নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে শুকিয়ে দেয়। ফলে গলা চুলকানো, খুশখুশ করা বা ব্যথা হওয়ার মতো অ্যালার্জির উপসর্গগুলি বৃদ্ধি পায়।
(২) শীতকালে বাচ্চা ও বয়স্কদের বেশির ভাগ সময় কাটে ঘরের মধ্যেই। এর ফলে ঘরের ভেতরে থাকা অ্যালার্জেন, যেমন— ডাস্ট মাইটস, পোষা প্রাণীর ত্বকের মৃত কোষ এবং পুরনো কম্বল বা উষ্ণ কাপড়ের ধুলো সহজেই শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে। যা গলার অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়াকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
(৩) শীতকালে সর্দি, ফ্লু বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের সংক্রমণ খুব সাধারণ। এই সংক্রমণের কারণে অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হয়। এই শ্লেষ্মা বা কফ যখন গলার টিস্যুকে উদ্দীপ্ত করে, তখন সেটি অ্যালার্জির তৈরি করে।
(৪) গরম ঘর থেকে হঠাৎ ঠান্ডা পরিবেশে বেরোলে অথবা ঠান্ডা কিছু পান করলে গলার রক্তনালীগুলিতে এর তীব্র প্রভাব পড়ে। এই পরিবর্তনও গলার অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
(১) হিটার ব্যবহার করলে ঘরে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এতে বাতাসের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
(২) যেহেতু এই সময় ঘরের ভেতরে বেশি থাকা হয়, তাই ঘর ও বিশেষত বেডিং নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
(৩) পোষ্য প্রাণী থাকলে বিশেষ ভাবে তাদের উপর নজর রাখুন। শোবার ঘর থেকে তাদের দূরে রাখুন।
(৪) ঘর ঝাড়া বা ধুলোর কাজ করার সময় মাস্ক পরুন।
(৫) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। সামান্য উষ্ণ জল এক্ষেত্রে বেশ উপকারী।
(৬) আদা, দারচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, তলসী পাতা প্রভৃতি ভালো করে ফুটিয়ে হালকা হয়ে এলে মধু মিশিয়ে দিনে দু-তিনবার করে খান। এতে গলা ব্যথার হাত থেকে রেহাই পাবেন। সহজে গলায় সংক্রমণ হবে না। ঋতু পরিবর্তনের দরুণ চট করে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশির আশঙ্কাও কমে।
