সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের (Election Commission) নতুন আইনে এখনই স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২১ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বক্তব্য ছিল, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও নতুন করে বিল আনে কেন্দ্র। কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য এক কমিটির প্রস্তাব দেওয়া হয় এই বিলে।
[আরও পড়ুন: অন্ধ্রে NDA-তে চরম অশান্তি, পবনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে চন্দ্রবাবুর টিডিপি]
শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রের আনা এই বিল দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে সেটি আইনেও পরিণত হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, দেশের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ করা মন্ত্রিসভার এক সদস্য। অর্থাৎ ৩ সদস্যের কমিটির দুই সদস্যই হবেন সরকারি প্রতিনিধি। আপাতত ওই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দুজনকে নিয়োগ করে এই কমিটি। তবে এই নিয়োগের আগেই কেন্দ্রের আইনের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে।
শুক্রবার এই মামলার শুনানির সময়ে শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, সংসদে যে আইন পাশ হয়েছে, তার ভিত্তিতেই নিযুক্ত হয়েছেন দুই নির্বাচন কমিশনার। সুপ্রিম কোর্ট সেই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেবে না। প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করে যে মামলা দায়ের হয়েছে সেখানেও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। মামলাকারীদের বলা হয়েছে, নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে আলাদা করে আবেদন করতে হবে। আগামী ২১ মার্চ গোটা বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।