সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এপ্রিলেই আগুনে গরম। পুড়ছে গোটা দেশ। প্রয়োজন না হলে সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটের মধ্যে ঘর থেকে বেরতো বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Poll 2024)। আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে নতুন করে একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। মনে করা হচ্ছে, এর প্রভাব পড়বে ভোটবক্সে। কমবে ভোটদানের শতাংশের হার।
পরিসংখ্যান বলছে, চাঁদিফাটা গরমের জেরে ভোট কম পড়েছে প্রথম দফাতে। ২০১৯ সালে প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৬৯.৯ শতাংশ। ৪.৪ শতাংশ কমে এবার ভোট পড়েছে ৬৫.৫ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় আগামী শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ভোট হবে ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এর মধ্যে বিশেষ করে চার রাজ্য বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটক নিয়ে চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। যেহেতু এই রাজ্যগুলির বিস্তীর্ণ অংশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
[আরও পড়ুন: কত টাকায় লড়েছিলেন জীবনের প্রথম মামলা? গোপন তথ্য ফাঁস প্রধান বিচারপতির]
একটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এপ্রিল ২০১৯-এ বিহারের নওদা লোকসভায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোট পড়েছিল ৫২.৫ শতাংশ। গত ১৯ এপ্রিল সেখানে পারদ চড়েছিল ৪২ ডিগ্রিতে। ভোটের শতাংশের হার কমে হয়েছিল ৪১.৫ শতাংশ। অন্যদিকে গয়াতেও ২০১৯-এর তুলনায় কমেছে ভোটদান। পাঁচ বছর আগে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভোট পড়েছিল ৫৬ শতাংশ। এবার ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ভোট চাই ‘রামচন্দ্র’র, করজোড়ে জনতার দরবারে ‘সীতা-লক্ষ্মণ’]
প্রথম দফার অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার মৌসম ভবনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তীব্র গরমে ভোট দিতে আসার ক্ষেত্রে নাগরিকদের একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন রাজীব কুমার। তিনি জানান, হালকা রঙের ঢিলে জামা পরলে গরমে কষ্ট কম হবে। মাথাও যেন ঢাকা থাকে কাপড়ে। প্রচুর পরিমাণ জল খেয়ে বাইরে বেরতে হবে। সঙ্গেও যেন জলের বোতল থাকে। নির্দিষ্ট দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে তবেই যেন ভোট দিতে আসেন ভোটার।