সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের প্রথম দিন ভূমিকম্পের পর থেকে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে জাপানে (Japan)। কিন্তু প্রকৃতির রোষে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। দেশজুড়ে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। তার মধ্যেই বাড়ছে ধসের আশঙ্কা। সবমিলিয়ে, ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া দুর্গতদের উদ্ধার করতে দেরি হবে বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। ব্যাহত হবে ত্রাণ বন্টনের কাজেও।
বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ ভূমিকম্প (Japan Earthquake) হয় জাপানে। ৭.৬ রিখটার স্কেলে কম্পনের পর আছড়ে পড়ে সুনামিও। দুদিন পরেও আফটার শক চলছে সেদেশে। ইতিমধ্যেই সেদেশে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানান, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। ভূমিকম্পের জেরে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, দুদিন পরেও তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান মেলেনি। তবে প্রশাসনের অনুমান, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত লোহিত সাগর, পণ্যবাহী জাহাজে মিসাইল হামলা হাউথিদের]
ভূমিকম্পের ফলে ধসে পড়েছে জাপানের বহু বাড়ি, ফাটল ধরেছে রাস্তায়। অধিকাংশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুর্গম এলাকাগুলোতে। সেখানে আটকে পড়া বাসিন্দারা সাহায্য চেয়ে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সেখানে পৌঁছনো যাচ্ছে না। ফলে ভূমিকম্পের পর দুদিন কেটে গেলেও কার্যত অসহায় অবস্থায় রয়েছেন জাপানের বহু সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়ে সমুদ্রপথেই উপকূলবর্তী শহরগুলোতে ত্রাণ পৌঁছনোর চেষ্টা চালাচ্ছে জাপানের প্রশাসন।
তবে উদ্ধারকাজে বাধ সাধছে প্রকৃতি। আগামী কয়েকদিনে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জাপানে। বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হবে উদ্ধারকাজ। তাছাড়াও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ধসের সম্ভাবনা। লাগাতার আফটার শকের জেরে কেঁপে উঠছে কম্পনের উৎসস্থল নোটো উপদ্বীপ। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা জাপানের। উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ার কারণেই বাড়বে ক্ষতির পরিমাণ।