নব্যেন্দু হাজরা: ‘যশ’ বা ‘ইয়াস’ (Cyclone Yaas) সেভাবে গোটা রাজ্যে তার দাপট দেখায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বৃষ্টিতে বারবার ভিজছে বাংলা। সোমবার ভোর থেকে প্রবল বৃষ্টি। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতেও দেখা যায়। দিনভর এমনই আবহাওয়া জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
রবিবার সকাল থেকে মোটেও ভাল ছিল না আবহাওয়া। সেভাবে মেলেনি রোদের দেখা। দিনভর কালো মেঘেই ঢাকা ছিল আকাশের মুখ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিলেও মেলেনি বৃষ্টির (Rain) দেখা। তবে সোমবার ভোর থেকে বদল আবহাওয়া। আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে শুরু বৃষ্টি। ভোর থেকে প্রায় প্রবল বৃষ্টিতে ভিজছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, দিনভর একইরকম আবহাওয়া জারি থাকবে। বৃষ্টি চলবে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম-সহ প্রায় গোটা রাজ্যে। উত্তরের জেলাগুলিও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও মালদহেও বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া জারি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রার পারদও নেমেছে বেশ খানিকটা। তীব্র গরম থেকে মিলেছে স্বস্তি।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় ‘দুয়ারে টিকা’, সুপার স্প্রেডারদের করোনা ভ্যাকসিন দিতে দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে গাড়ি]
আগামিকালই কেরলে (Kerala) মৌসুমী বায়ু ঢোকার কথা। যদিও তা নির্ধারিত সময়সীমার কিছুটা আগেই ঢুকছে। তবে কি বাংলাতেও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রবেশ করতে পারে বর্ষা, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চতুর্দিকে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তবে আবহাওয়াবিদদের একাংশ মনে করছে, ঘূর্ণিঝড় ‘যশে’র প্রভাবে রাজ্যে কিছুটা হলেও দেরিতে প্রবেশ করতে পারে মৌসুমী বায়ু।