রিংকি দাস ভট্টাচার্য: প্রবল বৃষ্টিতে ভিজল শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা৷ বুধবার দুপুরে আচমকাই কালো মেঘে ঢেকে যায় তিলোত্তমার আকাশ৷ সঙ্গে ঘন ঘন বজ্রপাত৷ হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে আসা আর্দ্রতাপূর্ণ বাতাসের জেরেই এই বৃষ্টি ও বজ্রপাত৷ বৃষ্টির জেরে কিছুটা হলেও তীব্র গরমের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন শহরবাসী৷
[বেলা বাড়তেই পথে বিজেপি, বনধের বিরোধিতায় পালটা মিছিল তৃণমূলেরও]
ক্যালেন্ডার বলছে আশ্বিন এসে গিয়েছে৷ পুজোও চলে এসেছে কাছেই৷ কিন্তু গরমের তীব্রতায় মাসের হিসাব বোঝার জো নেই৷ আশ্বিনেও প্রচণ্ড গরমের দাপটে ভাদ্র মাসের কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে আমজনতার৷ পুজো আসার ফলে রাস্তায় রাস্তায় প্রচুর মানুষের ভিড়৷ কেনাকাটি করতে ব্যস্ত প্রত্যেকেই৷ কিন্তু এই গরমে কেনাকাটি করতে গিয়েও নাভিশ্বাস আমজনতার৷ বুধবার সকালে ঝিলিক দিয়ে রোদের দেখা মিলেছিল তিলোত্তমায়৷ গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে গন্তব্যে পৌঁছান সকলেই৷ বৃষ্টির আশা করছিলেন সকলেই৷ এরপর বুধবার দুপুরে আচমকাই কালো হয়ে আসে গোটা আকাশ৷ শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি৷ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার থেকে গতিপথ পরিবর্তন করে রাজ্যে ঢুকে পড়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে আসা আর্দ্রতাপূর্ণ বাতাস৷ রাজ্যে থাকা শুষ্ক বাতাসের সংস্পর্শে এসে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করে ওই বাতাস৷ তার জেরেই এদিন দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরে৷ কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকা ভেজে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে৷
[বনধের সকালে কার্যত স্বাভাবিক কলকাতা, রাস্তায় অতিরিক্ত সরকারি বাস]
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুষ্ক হাওয়ার দাপটে দিনকয়েক রাজ্যের তাপমাত্রা প্রায় দু’ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছিল৷ তবে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে আর্দ্রতাপূর্ণ বাতাসের উপস্থিতিতে বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা কমেছে বেশ কয়েক ডিগ্রি৷ এই বৃষ্টির ফলে ভ্যাপসা গরম থেকে আমজনতা সামান্য মুক্তি পাবেন বলেই আশা করা হচ্ছে৷