সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক ধরে মাঝে মাঝেই বইছিল ঝোড়ো হাওয়া। হালকা বৃষ্টিতে ভিজছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। পূর্বাভাস ছিল মঙ্গলবারও ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। সকাল গড়িয়ে বেলা হতেই মেঘে ঢাকছিল আকাশ। আর দুপুর হতেই নামল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া আর বজ্রবিদ্যুতের দাপট।
গোটা শহরে তখন যেন রাত নেমে এসেছে। দেড়ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টির পর মেঘ কাটতে শুরু করে। ততক্ষণে শহরের আনাচে-কানাচে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ভেঙেছে বেশকিছু গাছ। সবমিলিয়ে এক টুকরো বর্ষার দুপুরের আনন্দ পেল শহরবাসী। তবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে।
[আরও পড়ুন: বাঁশবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে গুলি! তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়]
এদিন শুধু কলকাতা নয়, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দাপট দেখিয়েছে বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। জল জমেছে জায়গায় জায়গায়। নাজেহাল অফিস ফেরত যাত্রীরা। নাকাল হাসপাতালে থাকা রোগীর পরিজনেরাও। বৃষ্টিতে একাধিক হাসপাতাল চত্বরে জল দাঁড়িয়েছে। যার জেরে টিকা নিয়ে যাওয়া বা করোনা পরীক্ষা করাতে যাওয়া রোগীদের হয়রানি চূড়ান্ত হয়।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মধ্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। যার জেরে যানজট তৈরি হচ্ছে। অনেক জায়গায় রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ে বিপত্তি বেঁধেছে। এদিকে মালদহে সকাল থেকেই শিলাবৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে আম চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রতুয়া, ইংরেজবাজার-সহ একাধিক এলাকায় ভেঙেছে বাড়ির চাল। আবার মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং মাঠের পাকা ধান। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই।
[আরও পড়ুন: দু’পাড়ার অশান্তির জেরে যুবককে পিটিয়ে খুন! রণক্ষেত্র হাওড়া]
হাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণবঙ্গের দু’পাশে ২টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের খুলনা জেলার উপর রয়েছে একটি, অপরটি রয়েছে ঝাড়খণ্ডে ছোটনাগপুরের মালভূমির ওপরে। সঙ্গে প্রবল সক্রিয় দখিনা বাতাস। যার ফলে সমুদ্র থেকে ঢুকছে প্রচুর জলীয় বাস্প। এই জলীয় বাস্প থেকে তৈরি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ। যা থেকে লাগাতার হয়ে চলেছে বৃষ্টি। আরও কয়েক ঘণ্টা দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।