সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। কারণ গ্রেপ্তার হতে পারেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে পারেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন। চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সেরাজ্যের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। উল্লেখ্য, বছরের শেষ দিনই হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) তলব করেছে ইডি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ওই মামলায় গ্রেপ্তারির আশঙ্কা করছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। তাই স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে চাইছেন।
জমি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় এই নিয়ে সপ্তমবার হেমন্তকে ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তলবের সাতদিনের মধ্যেই হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এহেন পরিস্থিতিতেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেন জেএমএমের বিধায়ক সরফরাজ আহমেদ। সঙ্গে সঙ্গেই গৃহীত হয় তাঁর ইস্তফা। সরফরাজের দাবি, দল ও মুখ্যমন্ত্রীকে শক্তিশালী করতেই ইস্তফা দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: নিহত পুলওয়ামা হামলার চক্রী মাসুদ আজহার! ভাইরাল গাড়িতে বিস্ফোরণের ভিডিও]
কিন্তু বিজেপির (BJP) তরফে বলা হচ্ছে অন্য কথা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, আর কয়েকদিনের মধ্যে ইস্তফা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। সেই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন কল্পনা সোরেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নিশিকান্ত দুবে লেখেন, নতুন বছর সোরেন পরিবারের জন্য কেবল যন্ত্রণা নিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালকে তাঁর পরামর্শ, এক বছরের মধ্যে উপনির্বাচন করানো যায় কিনা সেটা বিবেচনা করে দেখা উচিত। যদিও উপনির্বাচন যখনই হোক না কেন, জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্ত্রীকে কুরসি ছেড়ে দিচ্ছেন এমন উদাহরণ রয়েছে দেশে। বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে পশুখাদ্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি। পরিবর্তে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী। এবার ঝাড়খণ্ডেও কি সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে? বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের পরে তুঙ্গে জল্পনা।