সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) মহানাটক। সাত ঘণ্টা ধরে চলা ইডি জেরার পরে অবশেষে ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। সংবাদ সংস্থা এ এন আই সূত্রে খবর, রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। ইতিমধ্যেই রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছেন শাসক জোটের সকল বিধায়ক। মনে করা হচ্ছে, বুধবার রাতেই চম্পাইকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, সাত ঘণ্টা জেরার পরে হেমন্তের রাঁচির বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসেছেন ইডি (ED) আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: মোদি জমানায় হু হু করে বাড়ছে ভ্রষ্টাচার! ‘দুর্নীতি সূচকে’ বিশ্বে ভারতের স্থান কত?]
বুধবার দুপুরে হেমন্তের বাসস্থানে গিয়ে তাঁকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। সাত ঘণ্টা জেরার পরে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের রাজভবনে যান হেমন্ত। পৌঁছে যান ঝাড়খণ্ডের শাসক জোট কংগ্রেস, আরজেডি ও জেএমএমের বিধায়করা। তার পরেই জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী বান্না গুপ্তা জানিয়ে দেন, “ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমরা চম্পাই সোরেনকে বেছে নিয়েছি। নতুন করে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।”
জেএমএমের এই পালাবদল মেনে নিয়েছে জোটসঙ্গী কংগ্রেসও। দলের প্রদেশ সভাপতি রাজেশ ঠাকুর বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। নেতা হিসাবে চম্পাই সোরেনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে আমাদের সব বিধায়কই রয়েছে আমাদের পাশে।”
জেএমএম বিধায়ক মহুয়া মাজি জানান, “আপাতত ইডি হেফাজতে রয়েছেন হেমন্ত সোরেন। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গেই রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।”
[আরও পড়ুন: তিক্ততার জেরে সংসদেও বিরোধী ঐক্যে ধাক্কা, কংগ্রেসে ‘অনীহা’ তৃণমূলের]
বলে রাখা ভাল, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ৪১। জেএমএমের সরফরাজ আহমেদের ইস্তফার কারণে এখন বিধায়ক সংখ্যা ৮০। শাসক জোটের রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআইএম লিবারেশন ১। বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। বিজেপি ২৫, আজসু ৩, এনসিপি (অজিত) ১, নির্দল ৩। অর্থাৎ আট জন বিধায়ক ভাঙাতে পারলেই ঝাড়খণ্ড বিজেপির দখলে চলে আসবে। শেষ পাওয়া খবর মোতাবেক এখনও চম্পাইকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানাননি রাজ্যপাল। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, বিধায়ক কেনাবেচার ‘সময়’ করে দিতেই আমন্ত্রণে কালক্ষেপ করা হচ্ছে।