সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলমুক্তির পরে সদ্যই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। আর তাঁর ক্ষমতায় আসার পর আগামিকাল, সোমবার আস্থা ভোট। রাজ্যের ক্যাবিনেট শনিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আস্থা ভোটে সোরেনের জয় একরকম নিশ্চিতই। আর তার পরই তিনি তাঁর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করবেন বলেই জানা যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় শাসক জোট অনেক এগিয়ে। কেননা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৭ জন বিধায়কের পাশাপাশি কংগ্রেসের ১৭টি এবং আরজেডির একজন বিধায়ক মিলে সোরেনের হাতে রয়েছে ৪৫ জনের সমর্থন। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে সবশুদ্ধ ৩০ জন রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের কারণে কক্ষের সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ায় ৩৮টি ভোটই যথেষ্ট আস্থা ভোটে জয়ী হতে। ফলে সোরেন যে অনায়াসে তাতে জয়ী হবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
গত ৩১ জানুয়ারি জমি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার হন হেমন্ত। তার আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। জেএমএমের চম্পাই সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হন। প্রায় পাঁচ মাস জেলে থাকার পর গত ২৮ জুন হেমন্তকে জামিন দেয় ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। এর পরই চম্পাই ইস্তফা দিলে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে কামব্যাক করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের রাজভবনে ডেকেছিলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাজ্যপাল। সেখানে জেএমএমের তরফে হেমন্ত (Hemant Soren) ছাড়াও হাজির ছিলেন কংগ্রেস ও আরজেডি নেতৃত্ব। ওই বৈঠকের পরেই সরকার গঠনের জন্য হেমন্তকে অনুমতি দেন রাজ্যপাল। এর পর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বিজেপিকে খোঁচা দেন হেমন্ত। লেখেন, 'শত্রুরা যে গণতন্ত্র বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিল সেটার শেষের দিন শুরু হয়ে গিয়েছে।' পাশাপাশি 'সত্যমেব জয়তে' স্লোগানও লেখেন তিনি।
এদিকে নতুন করে হেমন্তের বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার পরিকল্পনা করছে ইডি (ED)। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।