সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘খেলব হোলি রং দেব না তাই কখনও হয়!’ — এই গানের সময় এসে গিয়েছে। দোল বলুন বা হোলি, আসলে তো রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার পালা। এমন দিনে আবার ঘরদোর পরিষ্কার রাখা বড় দায়। অনেকেরই রং খেলার সময় হুঁশ থাকে না। ঘরের ভিতরেই রং নিয়ে খেলতে শুরু করে দেয়। ছোটদের তাও বারণ করা যায়, কিন্তু বড় বাচ্চারা তো কথাও শুনতে চায় না। তাহলে কী করবেন? কী আর করবেন, দোলের পর ঘর পরিষ্কার করার এই উপায়গুলি জেনে রাখুন।
মেঝে –
রঙের উৎসবের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় মেঝের। জল রং পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে টিস্যু বা খবরের কাগজ দিয়ে দিন যাতে অন্যদিকে তা না ছড়ায়। শুকনো রং হলে ঝাঁট দিতে হবে। কিন্তু তার পরও তো রং থেকে যায়। তখন কী করবেন? জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তা দাগ হওয়া জায়গায় লাগিয়ে দিন। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। দেখবেন দাগ গায়েব।
[আরও পড়ুন: বাসন্তী পোলাও, মাটন রোগান জোশে হোক হোলির উদরপূর্তি, রইল সহজ রেসিপি]
কাঠের আসবাব –
শুকনো রং লাগলে তা একটু কষ্ট করে ঝেড়ে ফেলাই যায়। কর্নারে ভ্যাকিউম ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু জল রং হলে চিন্তা বেশি। সেক্ষেত্রে অ্যাসিটোন সলিউশন ব্যবহার করতে হবে। জলে এই মিশ্রণ মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর কটন রোল ভিজিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তবে সাবধান, এর বাড়তি ব্যবহার করবেন না। যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটাই।
জানলা, দরজা ও কাচ
জানলা ও দরজায় রং লাগার চান্স সবচেয়ে বেশি থাকে। বাইরে থেকে পিচকারি বা বেলুনও এসে আছড়ে পড়তে পারে। এখন আবার অনেকের বাড়িতেই কাচের জানলা লাগানো। এগুলো পরিষ্কার করার সেরা উপায় বেকিং সোডা আর জলের মিশ্রণ। তাতেই হবে কেল্লাফতে।
বাথরুম
বাড়িতে রং খেলা হোক না হোক, বাথরুমে রং লেগে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ স্নান করতে সেখানেই যেতে হবে তাই না! এক্ষেত্রে একটু আগে কাজটা করতে হবে। রং খেলে আসার পর যে বাথরুমের যে যে জায়গায় রং লাগার প্রবনতা সবচেয়ে বেশি থাকবে সেখানে আগে থেকে একটু ভেসলিন জাতীয় পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে রাখুন। সাবধান, এই কাজটি কিন্তু বাথরুমের মেঝেতে করতে যাবেন না। পিছলে পড়ার ঝুঁকি থাকে।
[আরও পড়ুন: ‘চিয়ার্স’ টু বসন্ত! ঠান্ডাই-শরবৎ না হলে দোল কীসের? রইল রকমারি রেসিপি]