গৌতম ব্রহ্ম: ক্রমশই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গু। মশাবাহিত এই রোগের ছোবলে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন এ রাজ্যের অনেকেই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শীতের শুরুতেও কেন রোখা যাচ্ছে না ডেঙ্গুকে, সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা খাচ্ছে খোদ চিকিৎসকদের মনে। কিন্তু আমজনতার প্রশ্ন একটাই, এই রোগ থেকে কীভাবে দূরে থাকবেন নিজে? কীভাবেই বা সুস্থ রাখবেন আপনার পরিজনদের? সেই পথই বাতলালেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস।
আপনার কি দিনকয়েক ধরে প্রচণ্ড জ্বর আসছে? কয়েকঘণ্টা পর আবার তা চলে যাচ্ছে? চিকিৎসকের যাওয়া আর হয়ে উঠছে না। তাই ভরসা ওষুধের দোকান। কিনে খেয়ে ফেললেন প্যারাসিটামল। ব্যস! সেই সময়ের মতো জ্বর গায়েব। আপনি দিব্যি সুস্থ। কিন্তু চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের মতে, এই ভুল ভুলেও করবেন না। নিজেই ডাক্তারি না করে জ্বর আসামাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর কথা মতো ওষুধ খেলেই দেখবেন হয়তো সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
সাধারণ মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ডেঙ্গু হওয়া মানেই কি অবধারিত মৃত্যু? যদিও চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের মতে, এত আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই। শুধুমাত্র ডেঙ্গুতে কোনও রোগীর মৃত্যু হতে পারে না। যদি রোগীর হৃদযন্ত্রে কিংবা হাঁপানির কোনও সমস্যা থাকে তবে সেক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে বলেই মত চিকিৎসকের। সময়মতো ডেঙ্গুর চিকিৎসা করালে রক্ত এবং প্রস্রাবের পরীক্ষানিরীক্ষা করান চিকিৎসকেরা। তার মাধ্যমে ডেঙ্গু শরীরে ঠিক কতটা ক্ষতি করেছে, তা বুঝতে পারা সম্ভব। তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে গেলে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কমতে পারে। ডঃ অরিন্দম বিশ্বাসের মতে, ছোট কিংবা বয়স্কদের ডেঙ্গু হলে তা চিন্তার কারণ। প্লেটলেট ১০ হাজারের নিচে চলে না যাওয়া পর্যন্ত অযথা দুশ্চিন্তার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
[আরও পড়ুন: মশা তাড়াতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো? এখনই সাবধান হোন]
সুস্থ থাকতে হলে চিকিৎসকের কথামতো বেশি করে জল খান। ব্লাড প্রেশার কমে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মশারি টাঙিয়ে ঘুমোন। মশা তাড়াতে সকালের দিকে স্প্রে করুন। আর অবশ্যই জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দেখুন ভিডিও:
The post ঘনঘন জ্বর আসার কারণ ডেঙ্গু নয় তো? জেনে নিন চিকিৎসকের মতামত appeared first on Sangbad Pratidin.