সংবাদ প্রতিদিন আয়োজিত ‘সরস্বতীর সেরা স্কুল’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নব নালন্দা স্কুলের। এবছরের কীভাবে চলছে পুজোর প্রস্তুতি? জানালেন…স্কুলের প্রিন্সিপালের সহকারী অনন্যা মণ্ডল।
বিদ্যা-শিল্প-সংস্কৃতি-সংগীতের উপাসনাস্থল নব নালন্দা স্কুল। তাই শুধু বসন্ত পঞ্চমী নয়, সারা বছরই স্কুলে অধিষ্ঠান করেন টেরাকোটার তৈরি দেবী সরস্বতী। এই প্রতিমার বিসর্জন করা হয় না। সরস্বতী পুজোর দিন এই মূর্তিই প্রতি বছর পরম আবেগে বন্দিত হয়। ফুল ও রকমারি সামগ্রী দিয়ে ঠাকুরের মণ্ডপ তৈরিতে এবছরও মেতে উঠেছে ছাত্রছাত্রীরা। অন্য বছরগুলোর মতো এবারও আমাদের স্কুলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সংগীত-নৃতে্যর ঘরোয়া অনুষ্ঠান হবে। বাগদেবীর আরাধনায় এর চেয়ে বিকল্প আর কীই বা হতে পারে? বর্তমান পড়ুয়াদের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বহু প্রাক্তনী যাঁরা এই মুহূর্তে বাংলার প্রথিতযশা শিল্পী হয়ে উঠেছেন। অবশ্য স্কুলের সিনিয়র শিল্পীদের একচুল জমি ছাড়তে রাজি নয় এখনকার কচিকঁাচারা। জোর কম্পিটিশন দেবে তারাও। তাই গত কয়েকদিন ধরেই স্কুলে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গেই চলছে নাচ-গানের রিহার্সাল।
সংবাদ প্রতিদিন আয়োজিত ‘সরস্বতীর সেরা স্কুল’ প্রতিযোগিতায় এবারও নব নালন্দা স্কুল অংশগ্রহণ করেছে। খুদে সাংবাদিক ‘সারস্বত সম্মান’, যে কোনও ভাবনায় ‘শর্ট ভিডিও কনটেস্ট’-এও নাম দিয়েছে পড়ুয়ারা। এই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁকি নেই তাদের।
[আরও পড়ুন: কুকুরের ভয়ে স্কুটার থেকে ছিটকে রাস্তায়, স্বামীর সামনে লরির ধাক্কায় মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার]
আমাদের স্কুলের পুজোয় স্টুডেন্টদের মতোই স্কুল সাজানোয় কোমর বেঁধে নামেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অভিনব কায়দায় ফুলের রঙ্গোলি দিয়ে সাজানোর জন্য বিশেষ সুনাম আছে নব নালন্দার। অন্ধকার থাকতে থাকতেই সরস্বতী পুজোর দিন স্কুল প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে যান নব নালন্দা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ঠিক ভোর চারটেয় হাওড়ার ফুলের বাজার থেকে কয়েক কেজি রঙিন ফুল এসে পৌঁছয়। আর তাই দিয়ে স্কুলের উঠোনজুড়ে আলপনা-রঙ্গোলির নকশা বুনে দেন শিক্ষকরা। এ বছর স্কুল শিক্ষিকা ড. সর্বাণী বোসের উদে্যাগে দশ কেজির ফুল-পাতা দিয়ে তৈরি হবে ফুলের আলপনা। গোলাপ, দোপাটি, গঁাদা, ডালিয়া ফুলের পাপড়ি, নানা পাতায় রাঙানো হবে এই রঙ্গোলি। এই দিন ফুলের দাম যতই অগ্নিমূল্য হোক না কেন, আলপনার জন্য বিপুল পরিমাণ প্রয়োজনীয় ফুল কিনতে কোনও আপস করে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। অঞ্জলি দেওয়ার পর স্কুলে পাত পেড়ে খিচুড়ি-লাবড়া-বেগুনি-চাটনি-পাঁপড়-মিষ্টি খাওয়ার টানে এ বছরও বহু প্রাক্তনী জমায়েত করবে প্রাঙ্গণে। বর্তমান পড়ুয়াদের পাশে বসে জমিয়ে চলবে তাদের খাওয়া দাওয়া। ভোগ খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে পুরনোর সঙ্গে নতুনের মেলবন্ধনের দিন শুক্লা পঞ্চমী তিথি।