সুকুমার সরকার, ঢাকা: তিরিশ বছরে পা দিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি (Pori Moni)। জীবনের ঘটনাবহুল ২৯তম বছরকে অতীতে খাতায় রেখে ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ালেন। প্রতি জন্মদিনে দাদু শামসুল হক গাজীকে সঙ্গে নিয়েই পরীমণিকে কেক কাটতে দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাশাপাশি অনাথ শিশুদের সঙ্গে কেক কাটেন অভিনেত্রী।
১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় জন্ম হয় পরীমণির। তার প্রকৃত নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। অভিনেত্রীর বাবার নাম মনিরুল ইসলাম, মা সালমা সুলতানা। মাত্র তিন বছর বয়সে মাকে হারান নায়িকা। এরপর পিরোজপুরে দাদু শামসুল হক গাজীর কাছে বড় হন তিনি।
রবিবার ভোররাতে দাদু ও নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে প্রথম কেক কাটেন পরীমণি। সেখানে হাজির ছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। দুপুর ও বিকেলে অভিনেত্রী যান অনাথ আশ্রমে। সেখানকার শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। সেখানেও একটি কেক কাটেন অভিনেত্রী।
রবিবার রাত ৮টা থেকে রাজধানী ঢাকার পাঁচতারা হোটেলে হয় পার্টি। সেখানে অতিথিদের ড্রেসকোড লাল ও সাদা রঙের পোশাক। অতিথিদের পাঠানো কার্ডে সে কথাও জানানোর পাশাপাশি অভিনেত্রী লেখেন, “বিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে আমার কাছে এস এবং সারাজীবন আমার সঙ্গে থেকো”।
[আরও পড়ুন: ‘শীতকাল আসছে…’, একই ক্যাপশন দিয়ে ছবি পোস্ট যশ-নুসরতের, কাশ্মীরে জমে উঠেছে প্রেম ]
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরবর্তীতে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।এই মামলায় পরীমনিকে প্রথম দফায় ৪ দিন, দ্বিতীয় দফায় ২ দিন ও তৃতীয় দফায় ১ দিনসহ মোট ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেওয়া হয় এবং পরদিন তিনি কারামুক্ত হন।
বিগত কয়েকদিন আগামী ছবি ‘গুনিন’-এর শুটিংয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিলেন পরীমণি। জন্মদিনের জন্য সেখান থেকে ছুটি নিয়ে আসেন ঢাকায়। রবিবার জন্মদিনের পার্টি শেষ করে এক দিন বিশ্রাম নিয়ে মঙ্গলবার থেকে আবারও ‘গুনিন’-এর শুটিংয়ে ফিরবেন পরীমণি। সিনেমার পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। এর আগে পরীমনিকে নিয়ে ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমাটি বানিয়েছিলেন তিনি।