সুপর্ণা মজুমদার: রিমেকে সিদ্ধহস্ত বলিউড। আর অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) স্বচ্ছন্দ লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্রে। এই দুইয়ের মেলবন্ধন ঘটিয়েই ‘বচ্চন পাণ্ডে’ (Bachchhan Paandey) ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক ফারহাদ শামজি। অতএব যুক্তিকে বাদের খাতায় রেখেই এ ছবি দেখতে বসা উচিত।
২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল তামিল ছবি ‘জিগরঠান্ডা’। তারই অফিশিয়াল রিমেক ‘বচ্চন পাণ্ডে’। তবে এর সূত্রপাত হয়েছিল ২০০৮ সালে। সে বছরই মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয়, করিনা, সইফ অভিনীত ‘তশন’। ছবিতে অক্ষয়ের চরিত্রের নাম ছিল বচ্চন পাণ্ডে। সেই চরিত্রেরই আরেকটি আঙ্গিক যেন নতুন এই ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসে’র প্রশংসার ‘পুরস্কার’! বিবেক অগ্নিহোত্রীর পরের ছবিতে ডাক পেলেন কঙ্গনা]
গল্প শুরু হয় মাইরার (কৃতি স্যানন) চরিত্রের মাধ্যমে। পরিচালক হতে চায় মাইরা। তৈরি করতে চায় বচ্চন পাণ্ডের (অক্ষয় কুমার) বায়োপিক। কে এই বচ্চন পাণ্ডে? যার কাছে মানুষ খুন করা ডাল-ভাত খাওয়ার মতো। সাংবাদিককে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিতে পারে। এহেন বচ্চন পাণ্ডের নাগাল পেতে বন্ধুকে বিশুকে (আরশাদ ওয়ারসি) নায়কের টোপ দিয়ে সঙ্গে নেয় মাইরা। অনেক কাঠখড় পেরিয়ে বচ্চন পাণ্ডেকে রাজিও করায়। বাধ্য হয় তাঁকে নায়ক হিসেবে নিতে। এখান থেকেই গল্পের গরু গাছে উঠতে শুরু করে। আবার শেষে গতে বাধা নিয়মেই নটে গাছটি মুড়িয়ে যায়।
গল্পের দাবি মেনে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার। নিজের চেনা ম্যানারিজমের বাইরে বের হওয়ার চেষ্টাও করেননি। আরশাদ ওয়ারসি এবং কৃতি স্যানন (Kriti Sanon) শুধুমাত্র পার্শ্ব চরিত্র হয়ে থেকে গিয়েছেন। মাঝে অভিনয় প্রশিক্ষক হিসেবে এসেছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি (Pankaj Tripathi)। তাঁর মতো একজন দক্ষ অভিনেতাকে এই চরিত্রে আনা যেন অপাত্রে দান করার মতো। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez) ফুলদানির কাজটি করার চেষ্টা করেছেন। বাকি চরিত্ররা কেবল বচ্চন পাণ্ডের প্রয়োজনে এসেছেন এবং অদৃশ্য হয়ে গিয়েছেন। অ্যাকশনের পাশাপাশি কমেডির এলিমেন্ট রাখার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। কিছুটা মেক্সিকান কাউবয় ইমেজ রাখারও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সবই যেন গতে বাঁধা। অবশ্য ‘আর… রাজকুমার’ কিংবা ‘রাউডি রাঠোর’-এর মতো সিনেমা যাঁদের পছন্দের, তাঁরা এ সিনেমা হলে গিয়ে দেখতেই পারেন। শুধু মনের যুক্তিগুলোকে বাইরে রেখে হলে প্রবেশ করবেন।
ছবি – বচ্চন পাণ্ডে
অভিনয়ে – অক্ষয় কুমার, কৃতী স্যানন, আরশাদ ওয়ারসি, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, পঙ্কজ ত্রিপাঠি
পরিচালনায় – ফারহাদ শামজি