সুপর্ণা মজুমদার: ফরাসি থ্রিলার ‘স্লিপলেস নাইট’ অবলম্বনে ২০১৫ সালে তৈরি হয়েছিল কমল হাসানের তামিল ছবি ‘থুঙ্গা বনম’। এবার বলিউডে তৈরি হল ‘ব্লাডি ড্যাডি’ (Bloody Daddy)। রক্তমাখা একটি গল্প। আর শাহিদ কাপুর (Shahid Kapoor)। এই আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত সিনেমার উপজীব্য।
সিনেমা হলে নয়, জিও সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে ‘ব্লাডি ড্যাডি’। একেবারে আউট অফ আউট অ্যাকশন সিনেমা। এই ধরনের ছবি তৈরিতে সিদ্ধহস্ত পরিচালক আলি আব্বাস জাফর (Ali Abbas Zafar)। তার প্রমাণ ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’র মতো সিনেমা। ‘ব্লাডি ড্যাডি’তেও চেনা ছকেই কিস্তিমাত করতে চেয়েছেন আলি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অ্যাকশনই রয়েছে তাঁর ছবিতে। নায়ক শাহিদ কাপুরের মধ্যে কখনও ‘কবীর সিং’, কখনও ‘ফর্জি’র ছায়া দেখা গিয়েছে। অ্যাকশন অবশ্য শাহিদ বেশ ভাল করেছেন। তাঁর অভিনয়ের অন্যতম সম্পদ নিবিড় চাহনি। তা একাধিকবার দেখা গিয়েছে নতুন এই ছবিতে।
[আরও পড়ুন: হাতে কুঠার, একের পর এক খুন! ‘অ্যানিম্যাল’-এর রোমহর্ষক প্রি-টিজারে ভয়ানক রণবীর ]
তবে শাহিদের ছেলের চরিত্রে সরতাজ কক্করের (অথর্ব) বয়স একটু অল্প হলে ভাল হতো। সিকন্দর খেরের চরিত্রে রণিত রায় অনবদ্য। খল চরিত্রে তাঁর অভিনয় ক্ষুরধার। রাজীব খণ্ডেলওয়াল যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন তাতে সমস্তটা উজার করে দিয়েছেন। ডিয়ানা পেন্টি শুধুমাত্র পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে নিজের ভূমিকা পালন করেছেন। তবে গ্যাংস্টারের চরিত্রে সঞ্জয় কাপুর মন কাড়তে পারলেন না।
আরেকটি বিষয় নিয়ে বলতেই হয়। তা হল ছবির গান আর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর। অ্যাকশনের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে এই দু’টিকে যেভাবে সাজানো হয়েছে তা প্রশংসনীয়। হ্যাঁ, ছবিতে কিছু দুর্বল ও একঘেয়ে মুহূর্ত আছে। তবে সবমিলিয়ে বলতে গেলে, সপ্তাহান্তে দেখার উপযোগী ছবি ‘ব্লাডি ড্যাডি’। বিশেষ করে যাঁরা ক্রাইম থ্রিলার অ্যাকশন পছন্দ করেন।
ছবি – ব্লাডি ড্যাডি
অভিনয়ে – শাহিদ কাপুর, সঞ্জয় কাপুর, রণিত রায়, ডিয়ানা পেন্টি, রাজীব খণ্ডেলওয়াল, সরতাজ কক্কর, অঙ্কুর ভাটিয়া, ভিভিয়ান ভাতেনা
পরিচালনা – আলি আব্বাস জাফর