অর্ক দে ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: নন্দনে শো পায়নি দেব ও মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) অভিনীত ‘প্রজাপতি’। তা নিয়েই এবার মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মিঠুন চক্রবর্তী গেরুয়া শিবিরের বলেই তাঁর ছবি নন্দনে ব্রাত্য, এমনই মন্তব্য বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতার।
বাবা এবং অবিবাহিত ছেলের ভাব ভালবাসা, অভিমান, খুনসুটি নিয়ে তৈরি এক নির্মল গল্প ‘প্রজাপতি’ (Projapati Movie)। বাংলার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সেও বিক্রি হচ্ছে টিকিট। কিন্তু নন্দনে শো পায়নি। এ নিয়ে শনিবার ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেছিলেন ছবির অভিনেতা-প্রযোজক তথা তৃণমূল সাংসদ দেব (Dev)। নিজের অফিশিয়াল টুইটার প্রোফাইলে লিখেছিলেন, “এবার তোমায় মিস করব নন্দন। ঠিক আছে, কোনও ব্যাপার না। আবার দেখা হবে। গল্প এখানেই শেষ।” সুপারস্টারের লেখা শব্দে অভিমানের আভাস ছিল, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। পরে আবার ইনস্টাগ্রামে টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, “শুধুমাত্র মহান ব্যক্তিরাই এই কথার অর্থ বুঝতে পারবেন।”
[আরও পড়ুন: আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনা’, পুলিশের জালে অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার প্রাক্তন প্রেমিক সিজান]
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। আর সেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই তিনি বলেন, “তৃণমূল না করলে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সুবিধা পাওয়া যায় না কোনও জায়গা পাওয়া যায় না। মিঠুন চক্রবর্তী যেহেতু বিজেপি করেন তাঁকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও ডাকা হয় না। আর নন্দনে তাঁর ছবি রিলিজ করার সুযোগও দেওয়া হয় না।”
পরে আবার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সগড়ভাঙ্গার গোলপার্কে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, “মিঠুনদাকে ফিল্ম ফেস্টিবেলে ডাকা হয়নি। কারণ তিনি এখন তৃণমূলে নন বিজেপি করেন। একই ভাবে দেবকে জোর করে ভোটে দাঁড় করানো হয়েছিল। ও দাঁড়াতে চায়নি। ওর ব্যবসা বন্ধ করে ওকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল না করলে চাকরি পাবেন না, সিনেমায় সুযোগ পাবেন না, হল পাবেন না সিনেমা রিলিজের। নন্দন ফুর্তির জায়গা নয়। দেবের দোষ ও মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করেছে। এতো ছোট মন কেন আপনার?”
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক সিনেমার ক্ষেত্রে এমনভাবেই নন্দনে শো না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ‘আকাশ অংশত মেঘলা’ সিনেমার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘X=প্রেম’ ছবির শো না পাওয়ার সময়ও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। ‘নন্দন’, ‘রাধা’র মতো সিনেমা হলে অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ শো না পাওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র।