চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণের সম্পর্ক জোরদার হয় বিগত দশকে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরকালে বাংলাদেশকে ২৭টি প্রকল্পে ২ হাজার কোটি ডলার সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কলমে সুকুমার সরকার
আমেরিকার মতো মহাশক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। আওয়ামি লিগ নেতৃবৃন্দ তা ভুলে যায়নি। তবে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় বসে চিন ও পাকিস্তানপন্থীরা। এরপরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে এসে দাঁড়ায়। চিন-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সামরিক জুন্টা সরকারের আশ্রয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে গড়ে ওঠে একাধিক ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির। তারা ভারতে ঢুকে হামলা চালাতে থাকে ভারতীয় সেনার ওপর। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সীমান্তে জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ ভেঙ্গে দিয়ে দিল্লির আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। এরপরেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে মাত্রা পায়। কিন্তু চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ও তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়। এহেন পরিস্থিতিতে চারদিনের ভারত সফর শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা ফিরেছেন হাসিনা। স্বাভাবিকভাবেই এই সফরের উপর নজর ছিল গোটা দেশবাসীর।
বাংলাদেশের আমজনতার কাছে এটা স্পষ্ট, হাসিনা নয়াদিল্লিকে বার্তা দিয়ে এসেছেন- ‘চিন নিয়ে ঢাকা মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী।’ ঢাকার এই বার্তায় আশ্বস্ত হয়েছে নয়াদিল্লিও। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সীমান্তে অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ ও সামরিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বাংলাদেশকে জানিয়েছে ভারত। স্বভাবতই আঞ্চলিক নিরাপত্তায় এই অঞ্চলে চিনের ভূমিকা নিয়ে ভারত যে উদ্বেগ জানিয়েছে তার জবাবে নিজেদের বিদেশনীতির কথাই বলেছে বাংলাদেশ। এখানে অন্য কারও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জাগতে পারে বাংলাদেশ সে নীতিতে বিশ্বাস করে না- এ কথাটিই পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। কেননা উত্তর-পূর্ব ভারতে সন্ত্রাসবাদ দমন ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে কোনও সন্ত্রাসবাদ হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামরিক খাতে সহযোগিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ দমন নিয়ে কীভাবে দুই দেশ একত্রে কাজ করতে পারে। সেই সঙ্গে সামরিক খাতে উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। ভারতের নিরাপত্তায় কোনও ঝুঁকি তৈরি করে এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না বাংলাদেশ- এ বার্তাই দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা]
চিনা ঋণের প্রতি বাংলাদেশের আগ্রহ কমেছে। এটা স্পষ্ট ভাষায় মোদি সরকারকে জানিয়েছেন হাসিনা। কেননা, দুই দেশের সামনেই শ্রীলঙ্কার উদাহরণ রয়েছে। যেখানে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে সরকার পতনের মতো কাণ্ড ঘটেছে। ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। ঢাকা এখন বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ পেতে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান ও ভারতের মতো দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় দাতাদের সঙ্গে একের পর এক দর কষাকষি করছে। অন্যদিকে চিনের সঙ্গেও মাত্র একটি প্রকল্পে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। মূলত চিনের দেওয়া ঋণ পরিশোধের মেয়াদ কম, শর্ত কঠিন। এ ছাড়া চিনের ঋণ নিলে কাজ করার জন্য সেই দেশেরই ঠিকাদার নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু ওইসব ঠিকাদারের কাজের মান নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তাই বাংলাদেশ চিনা ঋণের প্রতি উৎসাহ হারিয়েছে।
চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণের সম্পর্ক জোরদার হয় বিগত দশকে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরকালে বাংলাদেশকে ২৭টি প্রকল্পে ২ হাজার কোটি ডলার সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ-সহ যোগাযোগ পরিকাঠামো, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন খাতের প্রকল্প রয়েছে। ঋণচুক্তি হয়েছে ন’টি প্রকল্পে। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিবছর গড়ে একটি প্রকল্পের অর্থায়নে চিনের সঙ্গে ঋণচুক্তি হয়েছে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে- ঢাকা হয়তো চিনের ঋণে ‘ধীরে চলো নীতি’ অবলম্বন করছে। এটা সঠিক নীতি। কারণ, উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়া হয় না বলে চিনের মতো দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে ঋণ নিলে উচ্চমূল্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয়। আবার কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন থাকে। ২০১৯ সালে ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্প চিহ্নিত করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কাজে আসেনি। সেই তালিকার মধ্যে ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালসড়ক, ছয়টি পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপন ও বিজেএমসির আওতায় থাকা সরকারি পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন, রাজশাহী ওয়াসার ভূ–উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে। এই তালিকা থেকে শুধু ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালসড়ক প্রকল্পের ঋণচুক্তি হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজশাহী জল শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে ঋণচুক্তি হতে পারে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। এই প্রকল্পে চার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এর মধ্যে চিন ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) চিনের বরাদ্দও রাখা হয়েছে।
চিনের সহায়তায় নেওয়া প্রকল্পের সুদের হার ২ শতাংশের মতো। তবে ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ড-সহ ১৫ বছরে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, জাপান ঋণ পরিশোধে ৩০ থেকে ৪০ বছর সময় দেয়। চিনের ঋণ দ্রুত পরিশোধ করতে হয়, তাই কিস্তিও বেশি। ২০১২ সালে শাহজালাল সার কারখানা উন্নয়ন প্রকল্প দিয়ে চিনা ঋণের প্রকল্প নেওয়া শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালে পদ্মায় জল শোধনাগার প্রকল্প ও জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো নির্মাণে দু’টি প্রকল্প নেওয়া হয়। দু’টি প্রকল্পই শেষ হয়েছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের বছরে মোট চারটি ঋণচুক্তি হয়। ২০১৭ সালে হয় আরও দুটি। এরপর প্রতিবছর একটি প্রকল্পের ঋণচুক্তির বেশি হয়নি। ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১ হাজার ৮৫৪ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। গত ১০ বছরে চিনের কাছ থেকে কঠিন শর্তে ঋণ নিয়ে ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। প্রকল্পগুলোর অন্যতম হলো- কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে মাল্টিলেন সড়ক টানেল নির্মাণ; শাহজালাল সার কারখানা; দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার; ইনফো সরকার-৩। ইতিমধ্যে শাহজালাল সার কারখানা, পদ্মা পানি শোধনাগার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন-এই তিন প্রকল্পে পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধ শুরু হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৯০ কোটি ডলারের মতো ঋণ পরিশোধ হয়েছে।
গত বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের রক্ত-ঋণ স্বীকার করেছেণ হাসিনা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সৈনিক বা আধিকারীকদের সরাসরি বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে এবং গত এক দশকে তা আরও জোরদার হয়েছে। তিনি বলেন, “গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পর, উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত সেক্টরাল সহযোগিতায় কাজ করছে।” সামুদ্রিক ও স্থল সীমানা নির্ধারণের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সমাধান সেই প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সম্পর্কটি বিশ্বব্যাপী প্রতিবেশী কূটনীতির জন্য রোল মডেল হিসাবে পরিচিত।” শেখ হাসিনা বলেন, “২০০টি মুজিব স্কলারশিপ, দশম শ্রেণিতে ১০০টি এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্তরে ১০০টি, যুদ্ধের ভারতীয় প্রবীণ সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের বংশধরদের জন্য আমাদের এই শুভেচ্ছা উপহার, যারা আমাদের জন্য ১৯৭১ সালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।”
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বিদেশ নীতি হচ্ছে ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’। তা বজায় রেখেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যমত সাহায্যকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবসময়ে ভারতকে প্রয়োজন। আর একই সঙ্গে বাংলাদেশ যে ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন, তা ধরে রাখতে প্রচুর অর্থ সহযোগিতারও প্রয়োজন, আর সেটি রয়েছে চিনের কাছে। এ কারণে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে তাদের উদ্বেগ দূর করে খুবই ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করছে বাংলাদেশ। মোদি-হাসিনা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার আলোকে দুই প্রধানমন্ত্রী ঐকমত্যে এসেছেন। বৈশ্বিক এ পরিস্থিতিতে উপাঞ্চলিক সহযোগী বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা। জ্বালানি সরবরাহ করা-সহ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধরে রাখা, একে অপরের সহযোগিতা করা এবং নিত্যপণ্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়টি সামনে এসেছে।
দুই দেশের দেওয়া যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের দেওয়া ঋণের প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে দুই নেতা একমত হয়েছেন। এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি না হলেও কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন নিয়ে সমঝোতা, বিজ্ঞান বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে দুই দেশের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের মধ্যে সমঝোতা, বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা, রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে সমঝোতা, রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক একটি সমঝোতা, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতীর মধ্যে সমঝোতা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে মোট সাতটি সমঝোতা সই হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, জ্বালানি অংশীদারিত্ব, জল সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরটি অনেকেই চুক্তি ও সমঝোতার সংখ্যায় সফলতা ও ব্যর্থতার দিকে মূল্যায়ন করছেন। কিন্তু এই সফরটি কোনও চাওয়া-পাওয়ার সফর ছিল না। সফরটি ছিল মূলত কৌশলগত দিক বিবেচনায়। বর্তমান বৈশ্বিক ও ভূরাজনৈতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে- সেই চাপ সামাল দেওয়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বোঝাপড়া করতেই এ সফর। এর মধ্যে থেকে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সই হলে ভাল হতো। কিন্তু দুই দেশ যে একত্রে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বা পশ্চিমা চাপ মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে একমত হতে চেয়েছিল, সেই বার্তা রয়েছে এ সফরে।
লেখক: সংবাদ প্রতিদিনের বাংলাদেশ সংবাদদাতা
kumar.sarkerbd@gmail.com