সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের জেগে উঠেছে খলিস্তানি দৈত্য। ভারত ভেঙে পৃথক দেশ গড়ার স্বপ্নে মশগুল জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের শিষ্যরা। মূলত কানাডা থেকে আইএসআইয়ের মদতে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর এ নিয়েই কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সংঘাত চরমে। বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে চলা এই টানাপোড়েনের নেপথ্যে রয়েছে খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর।
কে এই নিজ্জর? আর কেনই বা তাঁকে নিয়ে দিল্লি ও ওটয়ার মধ্যে এই সংঘাত?
খলিস্তানি সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান ছিল নিজ্জর। শিখ বিচ্ছিন্নদাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন পরিচালিত ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাসী এজেন্ডা প্রচারের দায়েও অভিযুক্ত ছিল সে। ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত ছিল নিজ্জর। কিন্তু ভারত ছাড়ার পরে পান্নুন তাকে কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি নিযুক্ত করে। কয়েকবছর আগেই ‘রেফারেন্ডাম-২০২০ প্রচারাভিযান’-র দায়িত্বও পায় নিজ্জর।
সম্প্রতি গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের দায়িত্বে ছিল নিজ্জর। তাকে প্রায়শই ভ্যানকোভারের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে শামিল হতে দেখা যায়। কানাডার একাধিক পরিচিত মুখের সঙ্গেও আনাগোনা ছিল তার। কানাডার (Canada) নাগরিক তথা পেশায় আইনজীবী নিজ্জরের জন্ম হয় পাঞ্জাবের জলন্ধরে।
[আরও পড়ুন: খলিস্তানি দাবিকে ‘সমর্থন’ ট্রুডোর, কানাডা থেকে বহিষ্কৃত ভারতীয় শীর্ষ কূটনীতিক]
১৮ জুন, ২০২৩ কানাডায় গুলি করে খুন করা হয় কুখ্যাত খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে (Hardeep Singh Nijjar)। সুরেতে একটি গুরুদ্বারের সামনে খলিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধানের উপর গুলিবৃষ্টি করে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা। কে বা কারা নিজ্জর হত্যায় যুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। তবে কানাডা সরকারের অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে নিজ্জরকে খতম করেছে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ (Research and Analysis Wing)।
বলে রাখা ভালো, পাঞ্জাবের ফিল্লাউরে এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র-সহ, শিখ কট্টরপন্থা সম্পর্কিত কমপক্ষে চারটি এনআইএ মামলায় অভিযুক্ত ছিল নিজ্জর। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে গত জুলাই মাসে তার খোঁজ পেতে ১০ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।